রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা
- বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৯:৩৭ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পোষ্য কোটা পুনঃস্থাপন না করার সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি শুরু করেছেন। তবে রাকসু নির্বাচন, পানি, বিদ্যুৎ ও পরিবহন সেবা এই কর্মসূচির আওতার বাইরে রাখা হয়েছে।
রাবি অফিসার্স সমিতির সভাপতি মোক্তার হোসেন রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা সুবিধা থাকা সত্ত্বেও রাবিতে না থাকায় আমরা হতাশ। তাই আন্দোলনের অংশ হিসেবে কমপ্লিট শাটডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রোববার বিকেলে উপাচার্যের বাসভবনে অনুষ্ঠিত জরুরি সিন্ডিকেট সভায় পূর্বের সিদ্ধান্ত বহাল রেখে পোষ্য কোটা স্থগিত রাখা হয়। একই সঙ্গে শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) শিক্ষকদের ওপর হামলার ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়।
রাবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ইফতেখারুল আলম মাসউদ জানান, সিন্ডিকেট শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর জানুয়ারিতে বাতিল করা পোষ্য কোটার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছে। শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি এবং বিচার বিভাগীয় তদন্তের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
শনিবার জুবেরী ভবনে এক উপ-উপাচার্যকে লাঞ্ছিত করার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে সিন্ডিকেট। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব কাউকে চাপানো হবে না।
সিন্ডিকেটের পক্ষ থেকে রাকসু (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ) নির্বাচনের নির্বিঘ্ন সম্পন্ন হওয়ার জন্য সকলের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। রেজিস্ট্রার বলেন, রাকসু নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষক ও কর্মকর্তারা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করলেও, নির্বাচন যেন নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়, এটিই আমাদের প্রত্যাশা।
রাবিতে আগে কর্মরতদের সন্তানদের জন্য ৪ শতাংশ পোষ্য কোটা চালু ছিল। কিন্তু ২০২৫ সালের ২ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে এটি বাতিল করা হয়। এরপর শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এটিকে পুনঃস্থাপনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর দেওয়া এক চিঠিতে তারা জানিয়েছিলেন, দাবি না মানা হলে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালিত হবে। যদিও প্রশাসন জরুরি একাডেমিক সভায় ১০ শর্তে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা পুনরায় চালুর ঘোষণা দিলেও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের চাপের কারণে তা বাস্তবায়িত হয়নি।