রাকসু নির্বাচন পেছানোর দাবি ছাত্রদলের, বিরোধিতা শিবিরের


রাকসু নির্বাচন পেছানোর দাবি ছাত্রদলের, বিরোধিতা শিবিরের

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন সামনে রেখে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা তুঙ্গে। পোষ্য কোটা পুনর্বহাল ও উপ-উপাচার্যসহ কয়েকজন কর্মকর্তার লাঞ্ছনার ঘটনায় শিক্ষকেরা শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করার পর ছাত্রদল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনের তারিখ পেছানোর দাবি তুলেছেন। তবে শিবির সমর্থিত প্যানেল এই দাবির বিরোধিতা করছে।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চারটি প্যানেল সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ, সার্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ, রাকসু ফর রেডিক্যাল চেঞ্জ এবং ইউনাইটেড ফর রাইটস সংবাদ সম্মেলনে জানান, ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ নেই। ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি প্রার্থী শেখ নুরু উদ্দিন আবীর ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি জমা দিয়ে নির্বাচন পেছানোর দাবি জানিয়েছেন।

ছাত্রদল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের যুক্তি অনুযায়ী, বর্তমানে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ, শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের শাটডাউন চলছে, যার কারণে অনেক শিক্ষার্থী ইতিমধ্যেই ক্যাম্পাস ত্যাগ করেছেন। এ পরিস্থিতিতে অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করা সম্ভব নয়।

অন্যদিকে শিবির সমর্থিত জিএস প্রার্থী ফাহিম রেজা এই দাবিকে ষড়যন্ত্র হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা করছে একটি চক্র। আমরা ২৫ সেপ্টেম্বর সময়মতো নির্বাচন চাই।

উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ ৩৫ বছর পর আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তবে ২০ সেপ্টেম্বর উপ-উপাচার্য মঈন উদ্দিনসহ প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের লাঞ্ছনার ঘটনায় শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা শাস্তির দাবি জানিয়ে শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছেন। সোমবার প্যারিস রোডে তারা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভাও করেছেন।

নির্বাচন কমিশন আজ সোমবার বিকেলে বৈঠক শেষে রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে কি না তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. এফ নজরুল ইসলাম বৈঠক শেষে এ বিষয়ে ঘোষণা দেবেন।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×