ঢাবি শিক্ষক মোনামী ও ডাকসুর এজিএস মহিউদ্দিনকে নিয়ে অপপ্রচার


ঢাবি শিক্ষক মোনামী ও ডাকসুর এজিএস মহিউদ্দিনকে নিয়ে অপপ্রচার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক শেহরীন আমিন ভূঁইয়া মোনামী আলোচনায় আসেন গত বছরের জুলাই মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময়। ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচিতে পুলিশের হাতে আটক হওয়া এক শিক্ষার্থীকে ছাড়াতে গিয়ে তিনি ঢাল হয়ে দাঁড়ান এবং সেদিন আহতও হন।

সম্প্রতি ডাকসু নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকালে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী তানভীর বারী হামিমের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন শেহরীন আমিন। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার জন্ম দেয়। যদিও পরে হামিম তাঁর কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন।

এবার নতুন করে আলোচনায় আসে শেহরীন আমিন ভূঁইয়া মোনামী ও ডাকসুর নবনির্বাচিত সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) মো. মহিউদ্দীন খানের একটি ভাইরাল ছবি। ছবিটিতে তাঁদের দুজনকে জড়িয়ে ধরতে দেখা গেলেও তদন্তে বেরিয়ে এসেছে এটি আসল নয়।

ফ্যাক্টচেক সংস্থা রিউমর স্ক্যানার জানিয়েছে, ছবিটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে সম্পাদনা করা হয়েছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, শেহরীন আমিন ও মহিউদ্দীনের আলাদাভাবে তোলা ছবি সংগ্রহ করে এআইয়ের মাধ্যমে একত্রিত করে এই ভুয়া ছবি তৈরি করা হয়েছে।

সূত্র আরও জানায়, ভাইরাল ছবির সঙ্গে তাঁদের নিজ নিজ ফেসবুক প্রোফাইল পিকচারের পোশাক ও বৈশিষ্ট্যের মিল পাওয়া গেছে। ছবিটি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করলে নিচের ডান কোণে গুগলের জেমিনি এআইয়ের জলছাপও চোখে পড়ে।

রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে উঠে আসে, গত ২৬ আগস্ট গুগল ডিপমাইন্ড ‘ন্যানো বানানা’ নামে একটি নতুন ইমেজ এডিটিং মডেল চালু করে। জেমিনি অ্যাসিস্ট্যান্টের মাধ্যমে ব্যবহারযোগ্য এই মডেলে ‘ব্লেন্ড ফটোস টুগেদার’ নামে একটি ফিচার আছে, যা দিয়ে পৃথক ছবি একত্র করে নতুন দৃশ্য তৈরি করা সম্ভব।

অতএব, ভাইরাল হওয়া শেহরীন আমিন ও মহিউদ্দীনের জড়িয়ে ধরা ছবিটি এআই-নির্ভর ভুয়া ছবি—মূলত বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশ্যে তৈরি।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×