ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার অফিসের অনুমোদন বাতিলে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম
- বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৭:৩৬ পিএম, ১০ আগস্ট ২০২৫

জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসের অনুমোদন বাতিলের দাবিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) একদল শিক্ষার্থী।
রোববার (১০ আগস্ট) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী’ ব্যানারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই আলটিমেটাম দেন। সেখানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঢাবির শিক্ষার্থী জিয়াউল হক।
বক্তব্যে জিয়াউল হক বলেন, “গত স্বৈরাচারের আমলে আমরা দেখেছি- বিভিন্ন এনজিওর ফান্ডিংয়ে স্কুল সিলেবাসে শরীফ-শরীফার গল্প ঢুকিয়ে বাচ্চাদের মগজে ট্রান্সজেন্ডার বা সমকামিতাকে বৈধ করার অপচেষ্টা করা হয়েছিল। জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসের ওয়েবসাইটে এলজিবিটিকিউ/সমকামিতাকে কথিত অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া এবং সেটাকে প্রমোট করার এজেন্ডার কথা বলা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের উপস্থিতি থাকলে কোটা ব্যবস্থা আবার চালু হতে পারে এবং এতে শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে ট্রান্সজেন্ডার বা সমকামিদের জন্য আলাদা কোটার পথ খুলে যাবে। এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মসজিদেও “সমকামি ইমাম” নিয়োগের জন্য নতুন কোটার দাবি উঠতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
জিয়াউল হক বলেন, “জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসের কার্যক্রম দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার ওপর আঘাত হানবে। সমকামিতার মত জঘন্য বিকৃতি ও অপরাধকে বৈধতা দেয়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেরকে তাদের আকিদা-বিশ্বাস তথা ইমান হারিয়ে বেঈমান করা হবে। পতিতাবৃত্তির নামে নারী নিপীড়ন ও নারী পাচারকে স্বীকৃতি দেয়া হবে। দেশের ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ন হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হবে। ধর্ম পালন ও প্রচারের স্বাধীনতা হরণ হবে।”
তিনি অভিযোগ করেন, বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। আলটিমেটাম দিয়ে তিনি বলেন, “আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস বাতিল না করলে ঢাবির বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে নিয়ে লাগাতার কঠোর কর্মসূচি দেবেন।”