সাইফের লড়াইয়ের পরও বাংলাদেশের হার, ফাইনালে ভারত


সাইফের লড়াইয়ের পরও বাংলাদেশের হার, ফাইনালে ভারত

জাকের আলীর ক্যাচ মিসের পর অভিষেক শর্মা ও শুবমান গিলের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ম্যাচের শুরুটা হাতছাড়া হয় বাংলাদেশের। তবে শেষ দিকে বোলাররা দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ভারতকে ১৬৮ রানে থামায় টাইগাররা। কিন্তু ব্যাট হাতে ব্যর্থতার মাশুল গুনে শেষ পর্যন্ত ৪১ রানের বড় হারে মাঠ ছাড়তে হয়েছে সাকিব-মুস্তাফিজদের।

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ছয় উইকেটে ১৬৮ রান তোলে ভারত। জবাবে বাংলাদেশ থামে ১৯.৩ ওভারে ১২৭ রানে। ফলে ফাইনালে জায়গা করে নেয় রোহিত শর্মার দল। টাইগারদের ফাইনালের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে হলে এখন জিততেই হবে পাকিস্তানের বিপক্ষে।

বাংলাদেশের ইনিংসে একমাত্র লড়াইটা করেছেন ওপেনার সাইফ হাসান। ৬৯ রানের ইনিংসে ভর করে দলকে তিন অঙ্কে তুললেও অন্য প্রান্তে কোনো সহায়তা পাননি তিনি। পারভেজ হোসেন ইমন ১৯ বলে ২১ রান করলেও বাকিরা ছিলেন একেবারেই ব্যর্থ। তাওহীদ হৃদয়, শামীম পাটোয়ারী, জাকের আলি কেউই দলে অবদান রাখতে পারেননি। এমনকি সাইফউদ্দিন ও রিশাদও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন। ফলে হারের ব্যবধান আরও বেড়ে যায়।

ভারতের হয়ে কুলদ্বীপ যাদব নিয়েছেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট।

এর আগে ভারতের ইনিংসে ঝড় তুলেছিলেন অভিষেক শর্মা। ইনিংসের শুরুতে জীবন পাওয়ার পর ৩৭ বলে খেলেন ৭৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস, যেখানে ছিল ৬ চার ও ৫ ছক্কা। শুবমান গিল করেন ২৩ রান। হার্দিক পান্ডিয়া ২৯ বলে ৩৮ রান করে দলকে লড়াইয়ে রাখেন।

বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন রিশাদ হোসেন। এছাড়া একটি করে উইকেট শিকার করেন মুস্তাফিজুর রহমান, তানজিম সাকিব ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

শেষ পর্যন্ত ব্যাটারদের ব্যর্থতায় স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে বাংলাদেশের। এখন ফাইনালের টিকিট পেতে হলে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×