অবশেষে সেই গায়কের সাথে দেখা, যার নামে মেসির নাম রেখেছিলেন তার মা


April 2025/Leonel Richi Messi.jpg
লিওনেল রিচির সঙ্গে লিওনেল মেসির দেখা।

ছবিতে যে দুইজন ব্যক্তিকে দেখতে পাচ্ছেন, তাদের একজন লিওনেল মেসি এবং আরেকজন লিওনেল রিচি। ইনস্টাগ্রামে যিনি ছবিটি পোস্ট করেছেন, বিশ্ব তাকে চেনে লিওনেল রিচি নামে। তার সঙ্গে যিনি আছেন, তাকে পুরো বিশ্ব চেনে লিওনেল মেসি নামে। এক লিওনেল সংগীতের রাজা, অন্যজন ফুটবলের রাজপুত্র। ইনস্টাগ্রামে দুইজনের ছবির ক্যাপশনে লেখা, ‘যখন লিওনেলের সঙ্গে লিওনেলের দেখা। ওর মা আমার নামে ওর নাম রেখেছিলেন, আর আজ আমাদের দেখা হলো। এত বছর পর দেখা হয়ে ভালো লাগলো।’

একজন সুরের জাদুকর, আরেকজন ফুটবলের জাদুকর। দুইজনে দুই জগতের মানুষ, তবে নামটা একই। একজন আশি-নব্বই দশকের তুমুল জনপ্রিয় গায়ক-গীতিকার, অন্যজন সর্বকালের সেরা ফুটবলার। 
 
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার সময় গত বুধবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা, চেজ স্টেডিয়ামে সেদিন কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপের ম্যাচ ছিলো। সেই ম্যাচে এলএএফসিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠে মেসির ইন্টার মায়ামি। দলের জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন লিওনেল মেসি, একাই করেছিলেন দুই গোল। 
 
ম্যাচ শেষে স্টেডিয়ামের টানেলে ‘দ্য কমোডোরস’ ব্যান্ডের একসময়ের নেতার সঙ্গে দেখা হয় মেসির। তার সঙ্গে হাত মেলান আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলার। হাসিমুখেই কথা বলেন দুইজন। তবে তাদের মধ্যে কী কথা হয়েছে, তা জানা যায়নি। 
 
দুজনের নামের একটা মিল রয়েছে। লিওনেল রিচির নাম থেকেই অনুপ্রাণিত লিওনেল মেসির নাম। মেসির মা সেলিয়া মারিয়া কুচ্চিত্তিনি প্রথম এই গল্পটা বলেছিলেন। ২০১০ সালে তার মুখ থেকেই শোনা যায় সেই গল্প। 
 
সে সময় আর্জেন্টিনার টেলিভিশন চ্যানেল তেলেফেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেসির মা বলেছিলেন, ‘ওর জন্ম সহজ ছিলো না। আমার ডেলিভারির নির্ধারিত সময় পার হয়ে গিয়েছিলো। ডাক্তার বললেন, আর ঝুঁকি নেবো না, লেবার ইন্ডিউস করবো। সকাল ৬ টায় হাসপাতালে গিয়েছিলাম, আর লিও জন্ম নেয় বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে। কিন্তু তার নাম নিয়ে বাধে বিপত্তি। আগে থেকেই তার কোনও নাম ঠিক করে রাখা হয়নি। আমি সবসময় লিওনেল নামটা পছন্দ করতাম কিন্তু হোর্হে ওর নাম রাখে লিওনেল। তখন আমি বলি, এটা তুমি কী করলে! সে আমাকে বললো, আমরা দুজনই তো লিওনেল রিচিকে খুব পছন্দ করি, তাই ওই বানানে রেখেছি।’
 
এমন অদ্ভূত গল্পটা লিওনেল রিচির কাছেও পৌঁছে যায়। অবশ্য প্রথমে তিনি এটা সত্যি মরে করেননি। তার ধারনা, এটা কোনও বানানো মজার গল্প। তবে পরে যখন তিনি নিশ্চিত হন, মেসির মা যখন নিজেই বলছেন, তখন তিনি বেশ খুশি হন। পরে রিচি নিজেই বলেছিলেন, আমি জানি ও গান গাইতে পারে না। কিন্তু আমিও তো ফুটবল খেলতে পারি না। আমরা বন্ধু হতেই পারি। অবশেষে দেখা হলো তাদের দুইজনের।

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×