এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ বাংলাদেশের মেয়েদের


30 November/Women Cricket Team.webp

তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ এক ম্যাচে হাতে রেখেই নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। এখন তাদের লক্ষ্য শেষ ওয়ানডেতেও জয় তুলে নিয়ে আয়ারল্যান্ডের মেয়েদের হোয়াইটওয়াশের লজ্জা দেয়া। সেই সঙ্গে সরাসরি ওয়ানডে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। 

শনিবার (৩০ নভেম্বর) মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। টস জিতে আগে ব্যাটিং করে টাইগ্রেস বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় আইরিশরা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন অ্যামি হান্টার। উত্তরে বাংলাদেশ পাঁচ উইকেট ও ৩৭ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়। বাংলাদেশের হয়ে ফারজানা হক ৫০ রান করেন। এ জয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটি এক ম্যাচ আগেই নিজেদের করে নেয়।

আইরিশদের দেয়া টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ফারজানা হক ও মুরশিদা খাতুন ১৫ রান সংগ্রহ করেন। ব্যক্তিগত ছয় রানে মুরশিদাকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন অরলা প্রেন্ডারগাস্ট। এরপর দ্বিতীয় উইকেট ফারজানা ও শামিমা ৮৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন। দলীয় ১০০ রানে ফারজানা হক ৮৯ বলে ছয় চারে ৫০ রান করে বিদায় নিলে ভাঙে জুটি। এরপর দলীয় ১০৭ রানে বিদায় নেন শামিম আক্তার। তার আগে ৬৩ বলে চার চারে ৪৩ রানের ঝকঝকে ইনিংস উপহার দেন। 

অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি চতুর্থ উইকেটে শবনম মুশতারিকে নিয়ে ২২ রানের জুটি গড়েন। কিন্তু, দলীয় ১২৯ রানে শবনম বিদায় নিলে ভাঙে জুটি। অপর প্রান্তে, অধিনায়ক জ্যোতি রানের চাকা সচল রাখেন। দল যখন জয় থেকে ১২ রান দূরে তখন পঞ্চম উইকেট হিসেবে বিদায় নেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। তার আগে জ্যোতি ৩৯ বলে এক ছক্কা ও চার চারে ৪০ রানের ইনিংস উপহার দেন। শেষ দিকে আরও কোন উইকেট ফেলতে না দিয়ে দলের জন্য নিয়ে মাঠ ছাড়েন স্বর্ণা আক্তার ও ফাহিমা খাতুন। স্বর্ণা ২৯ ও ফাহিমা চার রানে অপরাজিত থাকেন। 

এর আগে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি আইরিশদের। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে ওপেনার সারা ফোর্বসকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান নাহিদা আক্তার। আরেক ওপেনার গ্যাবি লুইসও টাইগ্রেস বোলারদের সামনে সুবিধা করতে পারেননি। ৩৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানোর পর তৃতীয় উইকেটে ঘুরে দাঁড়ায় আইরিশরা। অ্যামি এবং অরলা প্রেন্ডারগাস্ট মিলে ৯১ রানের জুটি গড়েন। ব্যক্তিগত ৩৭ রানে অরলা রানআউটের শিকার হলে ভাঙে জুটি।

এরপর চতুর্থ উইকেটে লরা ডেলানি ছাড়া আর কেউই অ্যামিকে সঙ্গে দিতে পারেননি। ডেলানির ব্যাট থেকে আসে ৩৩ রান। তিনিও ব্যক্তিগত ৩৭ রানে রানআউটের শিকার হন। কিন্তু, অপর প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং করে যান অ্যামি। সাজঘরে ফেরার আগে ৮৮ বলে আট চারের সাহায্যে ৬৮ রান করেন তিনি। তাকে এলবির ফাঁদে ফেলেন স্বর্ণা আক্তার। বাংলাদেশের হয়ে ৩২ রানে দুই উইকেট পেয়েছেন সুলতানা। এছাড়া, একটি করে উইকেট পেয়েছেন নাহিদা ও স্বর্ণা আক্তার।

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×