ম্যাক্সওয়েল ঝড়ে বিধ্বস্ত পাকিস্তান
- খেলাধুলা ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৭:১৩ পিএম, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

অস্ট্রেলিয়ায় ২০০২ সালে পর একের পর এক সফরে পাকিস্তান গেলেও ফিরতে হতো সিরিজ হারের বেদনা নিয়ে। অবশেষে মোহাম্মদ রিজওয়ানের নেতৃত্বে ওয়ানডেতে সিরিজ জয়ের মধ্যে ২২ বছরের অপেক্ষা ঘুচল পাকিস্তানের। ওয়ানডের পর পাকিস্তানের সামনে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের সুযোগ। তবে সুযোগ থাকলেও সেটা কাজে লাগাতে পারেনি পাকিস্তান। গ্যাবায় বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচ ২০ ওভার থেকে নেমে আসে ৭ ওভারে। এমন ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে ম্যাক্সওয়েলের ৪৩ রানের বিধ্বংসী ব্যাটে ৯৩ রানের সংগ্রহ পায় অজিরা। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাকিস্তান ৬৪ রান তুলেছে নয় উইকেট হারিয়ে। তাতে ২৯ রানের জয়ে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।
৯৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালোই পায় পাকিস্তান। প্রথম ওভারে টানা দুই চারে পজিটিভ ইন্টেন্টই দেখিয়েছিলেন শাহিবজাদা ফারহান। কিন্তু স্পেন্সার জনসনের বাউন্সারে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দেন এই ডানহাতি ওপেনার। এরপর ব্যাটারদের ছন্দ পতনে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে পাকিস্তান। অজি পেসারদের তোপ আর পাকিস্তানি ব্যাটারদের ব্লাইন্ড হিটিংয়ে পাকিস্তানের প্রথম ছয় ব্যাটারের সকলেই ফিরেছেন সিংগেল ডিজিটে।
একাদশে সাত ব্যাটার থাকলেও প্রথম পাঁচজন ফিরেছেন মাত্র ১২ বলের ব্যবধানে। শাহেবজাদা ফারহান (৮), মোহাম্মদ রিজওয়ান (০), উসমান খান (৪), বাবর আজম (৩), ইরফান খান (০) এবং সালমান আঘা আউট হন ৪ রান করে। শেষ দিকে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন হাসিবুল্লাহ খান এবং আব্বাস আফ্রিদি। কিন্তু ১২ রান করে আউট হন হাসিবুল্লাহ এবং ১১ রান করেন শাহিন আফ্রিদি। ১০ বলে ২০ রান করে আব্বাস আফ্রিদি অপরাজিত থাকলেও হার এড়াতে পারেনি পাকিস্তান।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে ম্যাথু শর্ট-জেক ফ্রেসার ম্যাকগার্ক প্রথম ওভারেই অস্ট্রেলিয়াকে এনে দেন ১৬ রান। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে ম্যাকগার্ক ফিরলে শুরু হয় গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ব্যাটিং তাণ্ডব। যেভাবে ব্যাট করছিলেন, একটা সময় দেখে মনে হচ্ছিল অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দ্রুততম টি-টোয়েন্টি ফিফটি বোধহয় করেই ফেলবেন তিনি।
তবে আব্বাস আফ্রিদির লো বাউন্সারে উড়িয়ে মারতে গিয়ে উসমান খানের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ‘বিগ শো’। ১৯ বলে ৪১ রান করেন তিন ছক্কা আর পাঁচ চারে। ৭ বলে ২১* রানের দারুণ ক্যামিওতে শেষটা করেছেন মার্কাস স্টয়নিস। শেষ ওভারে নাসিম শাহর বলে একাই তুলেছেন ২০ রান। তাতে ৯৩ রানে থামে অজিদের ইনিংস। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ দুই উইকেট নেন আব্বাস আফ্রিদি