ম্যান ইউনাইটেডকে বিধ্বস্ত করে লিভারপুলের তিনে তিন


ম্যান ইউনাইটেডকে বিধ্বস্ত করে লিভারপুলের তিনে তিন

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের হাইভোল্টেজ ম্যাচে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করেছে লিভারপুল। লুইস দিয়াজের জোড়া গোলে রেড ডেভিলদের ৩-০ গোলে হারিয়েছে আর্না স্লটের দল। লিগে টানা তৃতীয় জয় পেলো অলরেডরা। তাতে তিন ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা ম্যানচেস্টার সিটিকে ছুঁয়ে আন্তর্জাতিক বিরতিতে গেলো তারা।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে নিজেদের ঘরের মাঠে লিভারপুলকে আতিথ্য জানায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ম্যাচের শুরু থেকেই ম্যান ইউনাইটেডের ওপর দাপট দেখায় সফরকারীরা। ছন্দ খুঁজে ফেরা ইউনাইটেড ৩৫তম মিনিটে নিজেদের ভুলে ঠিকই পিছিয়ে পড়ে। মাঝমাঠে ক্যাসেমিরোর ভুলে বল ধরে ফের আক্রমণে ওঠে লিভারপুল। সতীর্থের পাস ধরে ডান দিক দিয়ে দ্রুত এগিয়ে দূরের পোস্টে ক্রস বাড়ান সালাহ, আর দারুণ হেডে গোলটি করেন দিয়াজ।

ম্যাচের ৪২তম মিনিটে ক্যাসেমিরো আবারও ভুল করে বসেন। এবারও দিয়াজ সেই সুযোগ নিয়ে লিভারপুলের ব্যবধান বাড়াতে অবদান রাখেন। ম্যান ইউনাইটেডের ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার বলের দখল হারান, আবারও সালাহর বাড়িয়ে দেয়া বলে কলম্বিয়ান তারকা জালে বল জড়ান। ২-০ গলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় আর্না স্লটের শিষ্যরা।

দ্বিতীয়ার্ধের ৫২তম মিনিটে লক্ষ্যে দ্বিতীয় শট রাখতে পারে ইউনাইটেড। এবার ডাচ স্ট্রাইকার ইয়োশুয়া জির্কজির কোনাকুনি শট ঝাঁপিয়ে রুখে দেন আলিসন। চার মিনিট পরই ব্যবধান বাড়িয়ে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন ফরওয়ার্ড মোহামদ সালাহ। দমিনিক সোবোসলাইয়ের পাস বক্সে পেয়ে প্রথম ছোঁয়ায় জোরালো শটে গোলটি করেন তিনি। ইউনাইটেডের ঘরের মাঠে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৯ ম্যাচে সালাহর গোল ১০টি।

বাকি সময়ে আর উল্লেখযোগ্য কিছু করতে পারেনি ইউনাইটেড। ম্যাচ শেষের আগেভাগেই দলটির কিছু সমর্থককে হতাশ হয়ে স্টেডিয়াম ছাড়তে দেখা যায়। ১৯৭৫ সালে নভেম্বরে বব পেইসলির পর প্রথম লিভারপুল কোচ হিসেবে ম্যান ইউনাইটেডের সঙ্গে প্রথম দেখাতেই জিতলেন তিনি। আর ১৯৩৬ সালের নভেম্বরে জর্জ কের পর প্রথম লিভারপুল কোচ হিসেবে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে প্রথমবারেই জয় পেলেন স্লট।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×