দ্রুত ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া নববর্ষে জাতির আকাঙ্ক্ষা: রিজভী

সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘নববর্ষে জাতির আকাঙ্ক্ষা, দ্রুত ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া। কারণ ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশের মানুষের ভোটাধিকারসহ সব অধিকার কেড়ে নিয়ে নিজের কর্তৃত্ববাদ প্রতিষ্ঠা করেছিল।’ সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর পরীবাগ সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে এক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পহেলা নববর্ষ উপলক্ষে এ আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সতীর্থ স্বজন। জুলাই ছাত্রদলের কথা স্মরণ করে রিজভী বলেন, ‘তুমুল আন্দোলন চলছে, আমি কারাগারে। সেখান থেকে শুনছি, তারুণ্যের উদ্দীপনা, তেজ। পুলিশ বলছে, ‘গুলি করি একটা পড়ে যায়, আবার সেখানে এসে আরেকজন দাঁড়ায়’। এই উদ্দীপনা দিয়েছে জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের গান, লেখা, অনেক কবির লেখনীর মাধ্যমে।’ ‘বিগত ১৫ বছর একটি পরিকল্পিতভাবে একটি দেশের সংস্কৃতি এ দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা করা হতো। এমনকি এই পহেলা বৈশাখে মুখোশের আড়ালে আমাদের নেত্রীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হতো। এমনকি দাড়ি-টুপি নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র করা হতো, দাড়ি-টুপি পরা সব মানুষ কি খারাপ? না।’ রুহুল কবির বলেন, ‘যার জন্য আমাদের ১৬ বছরের লড়াই, সেটি আমরা নিশ্চিত করি। সেই গণতন্ত্রকে নিশ্চিত করা নিয়ে কোনো টালবাহানা করা যাবে না। এই পহেলা নববর্ষে জাতির আকাঙ্ক্ষা দ্রুত ভোটাধিকার ফিরে দেওয়া। কারণ ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশের মানুষের ভোটাধিকারসহ সকল অধিকার কেড়ে নিয়ে নিজের কর্তৃত্ববাদ প্রতিষ্ঠা করেছিল।’ সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ভোটাধিকারকে কেন সংস্কারের সঙ্গে এক করে দেখা হচ্ছে, গণতন্ত্র মানেই সংস্কার। গণতন্ত্র হচ্ছে প্রবাহমান খরস্রোত নদীর মতো। এখানে কর্তৃত্ববাদের কোনো জায়গা নেই, আর যেখানে কর্তৃত্ববাদের জায়গা নেই সেখানেই গণতন্ত্র বয়ে যায়। সংস্কার হচ্ছে বয়ে যাওয়া।’ রুহুল কবির বলেন, ‘অনেক উপদেষ্টা এখন বিএনপিকে শত্রু ভাবছে, তারা গণতন্ত্র, ভোটাধিকার বাদ দিয়ে কীভাবে গণতন্ত্রের পরিবর্তে সংস্কারকে ভাবছে, সেটা আমাদের বোধগম্য নয়।’ বিএনপির সহপ্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলাম, কবি রেজা স্টালিন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহবুব ইসলাম, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি ডা. জাহেদুল কবির জাহিদ প্রমুখ।

মতিঝিলে কমিটি নেই, সভাপতির পরিচয়ে চাঁদাবাজি করা ব্যক্তির নামে বিএনপির মামলা

রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবি করা দুর্বৃত্তের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বিএনপি। সোমবার (১৪ এপ্রিল) মতিঝিল থানায় এ মামলা করা হয়। বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। পোস্টে বলা হয়, মতিঝিল এলাকায় একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবি করা দুর্বৃত্তকে আইনের আওতায় আনতে মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করেছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক রফিকুল আলম মজনু ও সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন। পোস্টে আরও বলা হয়, বিএনপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওতাধীন মতিঝিল থানার কোনো কমিটি নেই। কমিটি গঠনের লক্ষে সাংগঠনিক টিমের কাজ চলমান রয়েছে। এদিকে বিএনপির মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আওতাধীন মতিঝিল থানা বিএনপির কোনো কমিটি নেই। কমিটি গঠন করার লক্ষে সাংগঠনিক টিমের কাজ চলমান রয়েছে। ভিডিওতে ওই দুর্বৃত্তের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু এবং সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন উপস্থিত হয়ে তাকে আইনের আওতায় আনতে মামলা দায়ের করছেন।

জাতি এবার হিন্দুত্ববাদ প্রভাবমুক্ত বাংলা নববর্ষ উদযাপন করল

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম বলেছেন, ‘স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর্যন্ত নববর্ষ উদযাপনের নামে ভারতীয় হিন্দুয়ানি সংস্কৃতি পালনে আমাদেরকে বাধ্য করা হয়েছিলো। বিশেষ করে বিগত ১৬ বছল ফ্যাসিবাদী হাসিনার সরকার ভারতের পদলেহন করে দেশকে ভারতের হিন্দুয়ানি সংস্কৃতির আদলে সাজিয়ে মুসলিম ঐতিহ্যকে ধুলিসাৎ করে দিয়েছিলো। যা চাপিয়ে দেয়া হয়েছিলো তা মুসলমানদের সংস্কৃতি ছিল না। মুসলমানদের নিজস্ব সংস্কৃতি আছে, তা বিস্তারে কাজ করা উচিত। বিদেশী সংস্কৃতির নামে হিন্দুয়ানি ও পশ্চিমা সংস্কৃতি আমাদের যুব সমাজকে ধ্বংস করে দিয়েছে।’ আজ সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ আইএবির মিলনায়তনে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ কামরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সহ সভাপতি নুরুজ্জামান সরকার, সেক্রেটারি জেনারেল রাকিবুল হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ নাঈম, দপ্তর সম্পাদক আবদুল কুদ্দুস, অর্থ সম্পাদক সারোয়ার হোসেন সহ আরও অনেকে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অনুষ্ঠানে আহমদ আবদুল কাইয়ূম আরো বলেন, ‘৭১’-এর সংগ্রাম ছিল যেমন অধিকার আদায় ও স্বাধিকার আদায়ের সংগ্রাম, ঠিক তেমনই ২৪’-এর বিপ্লব ছিল ফ্যাসিস্ট ও বৈষম্য বিরোধী সংগ্রাম। তাই নতুন বাংলাদেশ গড়তে মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদমুক্ত দেশ গড়ে তুলতে ব্যর্থ হলে জনগণের দুঃখ দুর্দশার অন্ত থাকবে না। ফ্যাসিবাদের পতনের পর একটি দল যেভাবে দেশের সবকিছু নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে এবং ফ্যাসিবাদের জায়গাগুলো দখল করছে, তা কোনভাবেই কাম্য নয়। দলীয় সরকার নয়. তাতেই একটি দল যেভাবে দেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে, চাঁদাবাজি, খুন, ডাকাতি,দখলবাজি করছে মেনে নেওয়া যায় না। অনেকেই মনে করছেন, দলীয় সরকার হলে তারা কী করবে? সহজেই অনুমেয়। কাজেই সংষ্কার করে ৫৪ বছরে জঞ্জাল দূর না করে নির্বাচন দিলে জনগণের কোন কল্যাণ হবে না।’

নববর্ষের শুভেচ্ছা জানালেন জামায়াত আমির

দেশ-বিদেশে অবস্থানরত সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ড. শফিকুর রহমান। সোমবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ শুভেচ্ছা জানান তিনি। পোস্টে ড. শফিকুর রহমান লিখেছেন, ‘শুভ নববর্ষ ১৪৩২! দেশ-বিদেশে অবস্থানরত সকলের প্রতি নববর্ষের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। এই নতুন বছরে মহান রবের কাছে আমি সকলের সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।’ তিনি আরো লিখেন, ‘দল, মত, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এখন স্বাধীনভাবে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে পারছে—এটি নিঃসন্দেহে মহান আল্লাহর একটি বিশেষ অনুগ্রহ। এ জন্য আমরা মহান আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায় করছি। নতুন বছরে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে—আমাদের তরুণ প্রজন্ম তাদের দায়িত্ববোধ নিয়ে এই দেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে এবং মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে—এটাই আমার দৃঢ় বিশ্বাস।’

বিগত সরকার পহেলা বৈশাখকে সাংস্কৃতিক দলীয় হাতিয়ারে পরিণত করেছিল: নাহিদ

বিগত সরকার পহেলা বৈশাখকে সাংস্কৃতিক দলীয় হাতিয়ারে পরিণত করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকালে এনসিপি ঢাকা মহানগরের আয়োজনে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি। নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাইয়ের মধ্যে দিয়ে রাষ্ট্রের নবায়ন শুরু হয়েছে। রাষ্ট্র কাঠামো যদি একই থেকে যায় তাহলে জুলাই বিপ্লব ব্যর্থ হবে। জুলাই কেবল কোনও ব্যক্তি বা দলের পরিবর্তনের জন্য নয়, রাষ্ট্রের আমূল পরিবর্তন এর জন্য একটি আন্দোলন। যে সংস্কার চলছে তা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা বিচার ও সংস্কার দেখতে চাই। তিনি আরও বলেন, গণপরিষদ নির্বাচনের এজেন্ডা সামনে নিয়ে এগোচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি। আমরা গণপরিষদ এবং আইন সভা নির্বাচনের দিকে এগোতে চাই। ফ্যাসিবাদের বিলোপে রাষ্ট্র সংস্কার চলমান থাকবে। আমরা ঐক্যের ভিত্তিতে এগিয়ে যাবো। এ সময় এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে সব সংস্কৃতি নষ্ট করার পায়তারা করা হয়েছিল। আমরা নতুন যে বছর পেয়েছি তা বাংলাদেশের মানুষের জন্য শান্তির বার্তা আনবে। তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রের যেসব সংস্কার প্রয়োজন, সেসব অবশ্যই অন্তর্বর্তী সরকার করবে। যাতে পরে যারা ক্ষমতায় আসবে তারা যেন চালিয়ে নিতে পারে। এছাড়াও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের যেকোনও কাজে বাংলা সালকে গুরুত্ব দেওয়ার প্রচেষ্টা থাকবে বলে জানান তিনি।

নববর্ষে জাতির আকাঙ্ক্ষা দ্রুত ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, 'শুভ নববর্ষ। নববর্ষে জাতির আকাঙ্ক্ষা দ্রুত ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া। কারণ, ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশের মানুষের ভোটাধিকারসহ সকল অধিকার কেড়ে নিয়ে নিজের কর্তৃত্ববাদ প্রতিষ্ঠা করেছিল।' রাজধানীর পরিবাগ সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আজ সোমবার নববর্ষ উপলক্ষে এ আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সতীর্থ স্বজন। জুলাই ছাত্রদলের কথা স্মরণ করে রিজভী বলেন, 'তুমুল আন্দোলন চলছে, আমি কারাগারে। সেখান থেকে শুনছি, তারুণ্যের উদ্দীপনা, তেজ। পুলিশ বলছে, গুলি করি একটা পড়ে যায়, আবার সেখানে এসে আরেকজন দাঁড়ায়। এই উদ্দীপনা দিয়েছে জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের গান, লেখা, অনেক কবির লেখিনীর মাধ্যমে।' রিজভী বলেন, 'বিগত ১৫ বছর পরিকল্পিত ভাবে একটি দেশের সংস্কৃতি এদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা করা হতো। এমন কি এই পহেলা বৈশাখে মুখোশের আড়ালে আমাদের নেত্রীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হতো। এমন কি দাড়ি টুপি নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র করা হতো, দাড়ি টুপি পরা সব মানুষ কি খারাপ? না।যার জন্য আমাদের ১৬ বছরের লড়াই, সেটি আমরা নিশ্চিত করি। সেই গনতন্ত্রকে নিশ্চিত করা নিয়ে কোনো টাল-বাহানা করা যাবে না। এই পহেলা নববর্ষে জাতির আকাঙ্ক্ষা দ্রুত ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া। কারণ, ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশের মানুষের ভোটাধিকারসহ সকল অধিকার কেড়ে নিয়ে নিজের কর্তৃত্ববাদ প্রতিষ্ঠা করেছিল।' সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'ভোটাধিকারকে কেন সংস্কারের সঙ্গে এক করে দেখা হচ্ছে, গণতন্ত্র মানেই সংস্কার।গণতন্ত্র হচ্ছে প্রবাহমান খরস্রোত নদীর মতো। এখানে কর্তৃত্ববাদের কোনো জায়গা নেই, আর যেখানে কর্তৃত্ববাদের জায়গা নেই সেখানেই গণতন্ত্র বয়ে যায়। সংস্কার হচ্ছে বয়ে যাওয়া।' তিনি বলেন, 'অনেক উপদেষ্টা এখন বিএনপিকে শত্রু ভাবছে, তারা গণতন্ত্র, ভোটাধিকার বাদ দিয়ে কিভাবে গণতন্ত্রের পরিবর্তে সংস্কারকে ভাবছে, সেটা আমাদের বোধগম্য নয়।' ছাত্রদলের সহসভাপতি ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল বলেন, 'ফ্যাসিস্ট হাসিনা মুক্ত দেশ, ছাত্রদলের জন্য আজ আরেকটা ঈদের দিন। নববর্ষে চাওয়া হোক, সকলের প্রতি সকলের শ্রদ্ধাবোধ।' বিএনপির সহপ্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন-এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, দেশের খ্যাতিমান কবি রেজা স্টালিন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহবুব ইসলাম, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি ডা. জাহিদুল কবির প্রমুখ।

বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে গণঅধিকার পরিষদের শুভেচ্ছা বার্তা

বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষ্যে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন। সোমবার (১৪ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এই শুভেচ্ছা জানান। শুভেচ্ছা বার্তায় বলা হয়, আজ পয়লা বৈশাখ ১৪৩২-বাংলা বছরের প্রথম দিন। এটি বাংলা ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর জন্য এক গৌরবময় ও আনন্দের দিন। আমরা বাংলাদেশি, বিশ্বের বুকে এক গর্বিত জাতি, আমাদের রয়েছে নিজস্ব ইতিহাস ও ঐতিহ্য। পয়লা বৈশাখ উদযাপনের মাধ্যমে সেই স্বাজাত্যবোধ, বাঙালিয়ানা এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে নতুন করে প্রাণ সঞ্চার হয়। তারা বলেন, পয়লা বৈশাখ বাংলাদেশের মানুষের একটি সার্বজনীন উৎসব। এই দিনটি আনন্দঘন পরিবেশে নিজস্ব সাংস্কৃতিক রেওয়াজে বরণ করে নেয় এ দেশের মানুষ। গণ-অভ্যুত্থান আমাদের সকল বৈষম্য দূর করে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, শান্তিপূর্ণ, সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের পথ তৈরি করেছে। এই নববর্ষ প্রাণবন্ত একটি বাংলাদেশ গড়ার জন্য কাজ করার অনুপ্রেরণা জোগায়। গণঅধিকার পরিষদ নেতারা দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, নববর্ষের এই দিনে আমরা মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে সবার সুস্বাস্থ্য, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করি। পয়লা বৈশাখের প্রথম আলোয় দূর হোক অন্ধকার, আলোকিত হোক জাতীয় জীবন।

বিনিয়োগ সম্মেলনের সাফল‍্য অর্জিত না হলে তা দুঃখজনক হবে: এবি পার্টি

উচ্চাশানুযায়ী বিনিয়োগ সম্মেলনের সাফল‍্য অর্জিত না হলে তা দুঃখজনক হবে বলে মনে করে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। রোববার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর বিজয় নগরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিনিয়োগ সম্মেলন-২০২৫ ও অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানো বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু।তিনি আরও বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি ও বাণিজ্যের স্বচ্ছতার স্বার্থে প্রাসঙ্গিক সকল পরিসংখ‍্যান যাচাই বাছাই করে পুনঃপ্রকাশ জরুরি।’তথাকথিত মধ‍্যম আয়ের দেশ হওয়ার পরিকল্পনা থেকে সরে না আসলে হাক ডাক করে আয়োজন করা বিনিয়োগ সম্মেলনের সুবিধা বাংলাদেশ পাবে না বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দলটির নেতৃবৃন্দ।অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সদিচ্ছা এবং আন্তরিকতাকে সাধুবাদ জানিয়ে মঞ্জু বলেন, ‘বিনিয়োগ সম্মেলনকে ঘিরে দেশে-বিদেশে যে আগ্রহ তৈরি হয়েছে, তাকে ইতিবাচকভাবে কাজে লাগাতে হবে।’

আপনারা অবশ্যই অনির্বাচিত, প্রতিদিন স্মরণ করিয়ে দেওয়া হবে: সালাহউদ্দিন আহমেদ

পাঁচ বছরের জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারকে চাওয়ার বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন উপদেষ্টার মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘গণতন্ত্রের কথা বলে আপনারা গণতন্ত্রের উল্টো দিকে যাত্রা শুরু করবেন, নির্বাচনের কথা বলে নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করবেন- এটা কি গণতন্ত্রের জন্য শুভ? এটা কি গণ–অভ্যুত্থানের প্রত্যাশা ছিল? এটা কি গণ–অভ্যুত্থানের জন–আকাঙ্ক্ষা ছিল? নির্বাচিত সরকারের বিকল্প তো আপনারা হতে পারেন না। আপনারা অবশ্যই অনির্বাচিত। সেটা প্রতিদিন আপনাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হবে।’ রোববার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ভাসানী অনুসারী পরিষদের ‘জাতীয় প্রতিনিধি সম্মেলন ২০২৫’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অনুষ্ঠানে সালাহউদ্দিন আহমেদ আরো বলেন, ‘ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিতে প্রধান উপদেষ্টা যখন প্রতিশ্রুত, নির্বাচনের জন্য বিএনপি রোডম্যাপ দাবি করছে, তখন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন উপদেষ্টা পর্যন্ত বক্তৃতা দিতে শোনা যায় যে জনগণ নাকি তাদের পাঁচ বছরের জন্য চায়। ইতিমধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা...। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ চেয়ে আমরা বহু কমেন্ট দেখেছি, সেটা উনি দেখেননি?’ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার একটি বক্তব্যেরও সমালোচনা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য। তিনি বলেন, ‘কালকে আমাদের ফরিদা আপা একজন উপদেষ্টা...আমার সঙ্গে খুবই ভালো সম্পর্ক, সে জন্য আমি সমালোচনা কম করতে চাই। বললেন, উনারা নাকি নির্বাচিত হয়েছেন। কীভাবে? গণ–অভ্যুত্থানের মাধ্যমে উনাদের নির্বাচিত করেছে জনগণ? তাহলে এ দেশে নির্বাচন কমিশন আছে কেন?’ এ প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ‘যদি রাস্তার গণ–অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সরকার পরিবর্তন হয়, সেটা অবশ্যই এ দেশের মানুষের কামনা। কিন্তু একটা নির্বাচিত সরকারের বিকল্প তো আপনারা হতে পারেন না। আপনারা অবশ্যই অনির্বাচিত। সেটা প্রতিদিন আপনাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হবে।’ এ সময় কবি–চিন্তক ফরহাদ মজহারের একটি বক্তব্যেরও সমালোচনা করেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘উনার (ফরিদা আখতার) স্বামী আমাদের ভাই ফরহাদ মজহার সাহেব দুই-তিন দিন আগে বক্তব্য দিয়েছেন, নির্বাচনের মাধ্যমে নাকি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয় না। কেবল লুটেরাদের একটা সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা হয়। কী আর বলব!’ যে নির্বাচনের জন্য, যে ভোটাধিকারের জন্য, যে গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য, যে সাংবিধানিক অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য এ দেশের হাজার মানুষ শহীদ হলেন, গণ-অভ্যুত্থান হলো, ফ্যাসিবাদের পতন হলো সেই নির্বাচন, সেই ভোটাধিকারকে আপনারা অস্বীকার করছেন বলে মন্তব্য করেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি প্রশ্ন করে বলেন, ‘কাদেরকে আপনারা উৎসাহিত করছেন? কোন অগণতান্ত্রিক শক্তিকে এই মাঝপথে আপনারা সুবিধা দিচ্ছেন? কাদের সুবিধা দেওয়ার জন্য, কাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য প্রধান উপদেষ্টা প্রায়ই ডিসেম্বরে থেকে জুন, ডিসেম্বর–জুন–ডিসেম্বরে আসা যাওয়া করছেন? এক জায়গায় স্থির থাকতে পারছেন না কেন?’ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘আপনি পৃথিবীবিখ্যাত একজন সম্মানিত ব্যক্তি। আপনার এই রকম শিফটিংটা (নির্বাচন নিয়ে ডিসেম্বর ও জুন–সম্পর্কিত বক্তব্য) কিন্তু জাতি ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ভালোভাবে নেবে না।’ এ প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে আপনারা বৈঠক করেছিলেন। কথা দিয়েছিলেন। আপনাদের সব কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে ডিসেম্বরকে সামনে রেখে জাতীয় নির্বাচনের উদ্দেশ্যে। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বসেছি, কথা বলেছি। তাঁদের সব নির্বাচনের প্রস্তুতি আগামী জুন মাসের ভেতরে সমাপ্ত হবে। তাঁরা বলেছেন ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার জন্য উদ্‌গ্রীব।’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান (মান্না), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক প্রমুখ। ভাসানী অনুসারী পরিষদের ‘জাতীয় প্রতিনিধি সম্মেলন ২০২৫’-এর মাধ্যমে সংগঠনটির নাম পরিবর্তন করে ‘ভাসানী জনশক্তি পার্টি’ করা হয়। এর চেয়ারম্যান করা হয়েছে ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলামকে। আর আবু ইউসুফ সেলিমকে মহাসচিব করা হয়েছে।

মোটিফে আগুন দেওয়া দুর্বৃত্ত শনাক্ত, শোভাযাত্রার আগেই খবর পাবেন: ডিএমপি কমিশনার

চারুকলায় মোটিফে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িত দুর্বৃত্তকে চিহ্নিত করা হয়েছে। আগামীকাল আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু আগেই তাকে গ্রেফতার করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ডিএমপি কমিশনার মো. সাজ্জাদ আলী। রবিবার (১৩ এপ্রিল) বেলা পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর রমনা পার্কে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি তথ্য জানান। মো. সাজ্জাদ আলী বলেন, ‘নববর্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা উপলক্ষে নির্মিত স্বৈরাচারের প্রতিকৃতি মোটিফে আগুন দেওয়ার ঘটনায় দুর্বৃত্তকে চিহ্নিত করা হয়েছে। আগামীকাল আনন্দ শোভাযাত্রার আগেই তাকে গ্রেফতার করা হবে।’ পহেলা বৈশাখ ঘিরে কোনও আশঙ্কা আছে কিনা জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘কোনও ঝুঁকি নেই। ডিএমপির ১৮ হাজার ফোর্স কাজ করবে। পাশাপাশি র‍্যাব ও সেনাবাহিনী আছে। গোয়েন্দা সংস্থা রয়েছে। আমাদের কোনও ঝুঁকির কথা জানানো হয়নি।’ চারুকলায় মোটিফে আগুন দেওয়ার ঘটনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ঘাটতি ছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা আমরা তদন্ত করছি। মামলা চলমান রয়েছে। তাই এই বিষয় এখনই কিছু বলতে চাই না। আসামি গ্রেফতারের পর বিস্তারিত বলবো।’

যারা হাসতে হাসতে মানুষ খুন করেছে, তাদের বিচার হচ্ছে না কেন: ফারুক

যারা হাসতে হাসতে মানুষ খুন করেছে, দেশের সম্পদ লুট করেছে তাদের কেনো এখনও বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে না, এমন প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। শনিবার (১২ এপ্রিল) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সেনবাগ জাতীয়তাবাদী ফোরামের প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় সাবেক এমপি মোর্শেদ আলমকে রিমান্ডে নিয়ে তার সব অবৈধ সম্পদের হিসাব জনগণের সামনে আনার দাবি জানান তিনি। এছাড়া, আওয়ামী লীগ নেতাদের গ্রেফতার করা হলেও তাদের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে বিচার থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন এ বিএনপি নেত। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশ্যে ফারুক বলেন, ‘নির্বাচন পেছাতে চক্রান্ত চলছে। তাই নূন্যতম সংস্কার এবং আওয়ামী অপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করে দ্রুত নির্বাচনমুখী হওয়া দরকার।’

সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবে মুক্তিযুদ্ধকে খাটো করা হয়েছে, অভিযোগ জাসদের

সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে মুক্তিযুদ্ধ ও ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানকে সমান গুরুত্ব দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ জাসদ। দলটি বলেছে, মুক্তিযুদ্ধকে খাটো করার প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়। চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক তাৎপর্য রয়েছে, সেই সঙ্গে নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানও তাৎপর্যপূর্ণ উল্লেখ করে তা সংবিধানে উল্লেখ করা প্রয়োজন বলে মনে করে দলটি। এ ছাড়া ‘ধর্মগ্রন্থের সঙ্গে সংবিধান তুলনীয় নয়’ উল্লেখ করে শুরুতে ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম’ ও এর বাংলা অনুবাদ রাখাটা সমীচীন নয় বলেও মনে করে জাসদ। আজ শনিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে হওয়া সংলাপে এসব বক্তব্য বাংলাদেশ জাসদের পক্ষে তুলে ধরা হয়। দলটির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধানের নেতৃত্বে বৈঠকে প্রস্তাবের সারসংক্ষেপ পাঠ করেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মুশতাক হোসেন। সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম রেখে চার মূলনীতি যে ভাষাতেই প্রতিস্থাপন করা হোক না কেন, তা সংবিধান ও রাষ্ট্রের সেক্যুলার ও গণতান্ত্রিক চরিত্রকে নাকচ করে বলে মনে করে জাসদ। মুশতাক হোসেন বলেন, পবিত্র ধর্মগ্রন্থের সঙ্গে সংবিধান তুলনীয় নয়। তাই সংবিধানের শুরুতে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ ও এর বাংলা অনুবাদ রাখাটা সমীচীন নয়। মুশতাক হোসেন বলেন, সংবিধানে মুক্তিযুদ্ধ ও ২০২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানকে সমান গুরুত্ব দেওয়ার চেষ্টার মধ্যে মুক্তিযুদ্ধকে খাটো করার প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়। চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের উল্লেখের অবশ্যই ঐতিহাসিক তাৎপর্য রয়েছে, সেই সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ের শেষে ১৯৯০-এর গণ-অভ্যুত্থানও তাৎপর্যপূর্ণ। ’৯০-এর গণ-অভ্যুত্থানকেও সংবিধানে মর্যাদার সঙ্গে উল্লেখ করা প্রয়োজন। সংবিধান থেকে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র ও ৭ মার্চের ভাষণ অপসারণ আমরা সমর্থন করি না। দেশের নাম বাংলায় পরিবর্তনকে আমরা অনাবশ্যক মনে করি। সংবিধানের ৫ম ও ৭ম সংশোধনী বাতিল থাকবে। বাঙালির বাইরে অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীকে উল্লেখ করার সময় ‘আদিবাসী’ অভিধাটি সংজ্ঞাসহ সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা দরকার বলে মনে করে বাংলাদেশ জাসদ। একই সঙ্গে দলটি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বয়সসীমা কমানোরও বিপক্ষে। সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে সংবিধানে ৭০ অনুচ্ছেদ শুধু অর্থবিলে দলীয় সিদ্ধান্তে ভোট দেওয়ার ক্ষমতা রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। দলটি অর্থবিলের পাশাপাশি অনাস্থা প্রস্তাবেও দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে ভোট দিতে না দেওয়ার পক্ষে। নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণের প্রস্তাবে বৈষম্য আরও বাড়বে বলে মনে করে বাংলাদেশ জাসদ। একই সঙ্গে তাঁরা মনে করেন, নির্বাচন কমিশনারদের মেয়াদ পরবর্তীতে জাতীয় সংসদ কর্তৃক শাস্তির বিধান নির্বাচন কমিশনারদের স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে। বাংলাদেশকে প্রদেশে বিভক্ত করতে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবকে সময়ের দাবি বলে মনে করে বাংলাদেশ জাসদ। দলটি মনে করে, সব ক্যাডারের মাঝে সমতা নিশ্চিত করা, কোনো বিশেষ ক্যাডারকে ঔপনিবেশিক আদলে গড়ে তোলার চেষ্টা পরিহার করা উচিত। জেলা পরিষদ রাখার পক্ষেও মতো দিয়েছে দলটি।

চাঁদাবাজদের আর ক্ষমতায় আনা যাবে না : মুফতি ফয়জুল করীম

ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, চাঁদাবাজির জন্য আমরা আন্দোলন করি নাই। যারা চাঁদাবাজি করে, তাদেরকে আর ক্ষমতায় দেওয়া যাবে না। বিগত আমলে বিএনপি সরকার থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগ সরকার পর্যন্ত বাংলাদেশ পাঁচ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে রায়পুর উপজেলা বাস টার্মিনাল এলাকায় আয়োজিত ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ-এর তৃণমূল প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ইউনুস সরকার নির্বাচনকালীন সময়ে প্রয়োজনীয় সংস্কার না করে যদি নির্বাচন আয়োজন করে, তবে সেটি হবে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন। প্রশ্নবিদ্ধ কোন নির্বাচন করলেই চাঁদাবাজরা আবারও ক্ষমতা আসবে। আগে তাই সংস্কার শেষ করে স্থানীয় নির্বাচন দিতে হবে। পরে হবে জাতীয় নির্বাচন। মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিবাজদের দিয়ে দেশ চলে না। আমাদের দরকার সৎ, ঈমানদার ও দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব, যারা দেশের কল্যাণে কাজ করবে, জনগণের পাশে থাকবে। তাই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এমন নেতৃত্ব গঠনে কাজ করে যাচ্ছে। সম্মেলনে উপজেলা সভাপতি মাওলানা আনোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে থানা সেক্রেটারী মাওলানা হেলাল উদ্দিনের সঞ্চলনায় উপস্থিত ছিলেন, লক্ষ্মীপুর জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাওলানা দেলাওয়ার হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা মহিউদ্দীন, জেলা যুব আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা মোখলেছুর রহমান, ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি মো. ইউনুস খান প্রমুখ।

অন্তর্বর্তী সরকারের ৫ বছর ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই: বিএনপি

অন্তর্বর্তী সরকারের পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার কোনো অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান। তিনি বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত হবে দ্রুত নির্বাচন দেওয়া। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করার যে কথা বলেছেন ড. ইউনূস, তা রক্ষা করবেন বলে বিশ্বাস করে বিএনপি।’শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডে একটি মিলনায়তনে ডিপ্লোমা মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।সেলিমা রহমান বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন- এই সরকারকে জনগণ নাকি পাঁচ বছর ক্ষমতায় রাখতে চায়। জনগণ কী রাখতে চায় আমরা জানি। পাঁচ বছর থাকার মতো কোনো অধিকার এ সরকারের নেই, কেননা তারা অন্তর্বর্তী সরকার। অন্তর্বর্তী সরকার অনেক কাজ করতে পারে না।’জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপি নির্বাচন চায় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য লালায়িত নয় বিএনপি। ১৫ বছরে নির্বাচনি ব্যবস্থাসহ সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রকে ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রে রূপান্তর করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি বলেন, ‘জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হলে কেবল নির্বাচিত সরকারই পূর্ণাঙ্গ সংস্কার করতে পারবে।’অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে ‘অত্যন্ত গুণী ব্যক্তি’ আখ্যা দিয়ে সেলিমা রহমান বলেন, ‘বিএনপি তার ওপর আস্থা রাখে। আমরা আশা করি, তিনি তার প্রতিশ্রুতি রাখবেন এবং ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচনের আয়োজন করবেন। গণতন্ত্রহীনতা ও একদলীয় শাসনের অবসান ঘটিয়ে জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠা করা এখন সময়ের দাবি।’

জামায়াত নেতাদের সাথে সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অফিস পরিদর্শন ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে বাংলাদেশে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের অনাবাসিক হাইকমিশনার ডেরেক লো। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বাংলাদেশে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের অনাবাসিক হাইকমিশনার ডেরেক লো তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান। জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের মুজিবুল আলম জানান, বৈঠকে তারা বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নানা বিষয় বিশেষ করে সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২৫ নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন। প্রতিনিধি দলটি জানায় সিঙ্গাপুর বাংলাদেশের অন্যতম বিনিয়োগ ও উন্নয়ন অংশীদার। তারা ভবিষ্যতে বাংলাদেশে আরও অধিক বিনিয়োগের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ সময় বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে অর্থবহ করার বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে স্থান পায়। ভবিষ্যতে উভয় দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক, উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়। জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের নায়েবে আমির সাবেক সাংসদ মুজিবুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক সাংসদ মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন।

তারেক রহমানের বিকল্প নাই: হাবিব

আগামী দিনে আধুনিক বাংলাদেশ গড়তে তারেক রহমানের বিকল্প নাই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব। তিনি বলেছেন, ‘একমাত্র তারেক রহমানই পারেন বাংলাদেশকে সাহসীকতার সঙ্গে নেতৃত্ব দিতে। পতনের আগেই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশঙ্কা করেছিলেন তাদের পতন হলে এক দিনে আওয়ামী লীগের ৫ লাখ লোক মারা যাবে। কিন্তু শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর আমরা কী দেখলাম? তারেক রহমানের নেতৃত্বের কারণে দেশে কোনো অরাজকতা হয়নি। কারণ তারেক রহমান স্পষ্ট করে আমাদের জানিয়ে দিয়েছিলেন, আইন কেউ নিজের হাতে তুলে নেবেন না।’ শুক্রবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কর্মজীবী দলের ১৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত জিয়াউর রহমানের সমাধি জিয়ারত ও দোয়া শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। সংস্কারে বিএনপির কোনো আপত্তি নেই জানিয়ে হাবিব বলেন, ‘আমরা সংস্কারের বিরোধী নই। কিন্তু সংস্কারের কথা বলে নির্বাচন বিলম্ব করা যাবে না। সংস্কার শেষে অবিলম্বে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বললেই সংস্কারের বিরোধিতা করা নয়।’

বাসদের কার্যালয়ের সাইনবোর্ড ভাংচুর, নেতাদের নিন্দা

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রাজনৈতিক দল বাসদের কার্যালয়ের সাইনবোর্ড খুলে নেওয়ার চেষ্টা করেছে একদল দুর্বৃত্ত। কিন্তু ভবনে উপস্থিত বাসদের কর্মীরা ওপর থেকে চেঁচামেচি করলে পরে তারা পালিয়ে যায় বলেও দাবি করা হয়। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাত আনুমানিক ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, সিপিবির সভাপতি শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদ মার্কসবাদীর সমন্বয়ক মাসুদ রানা, সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী এক যুক্ত বিবৃতিতে সেগুনবাগিচায় বাসদ কার্যালয়ের সাইনবোর্ড অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তদের দ্বারা ভাঙচুর ও খুলে নেওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘গতকাল ১০ এপ্রিল দিবাগত রাতে আনুমানিক ১২টার দিকে অজ্ঞাতনামা একদল দুর্বৃত্ত সেগুনবাগিচায় ৮/৪-এ ভবনের ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলায় অবস্থিত বাসদ কার্যালয় ও ভ্যানগার্ড কার্যালয়ের সাইনবোর্ড খুলে নেওয়ার চেষ্টা করলে ভবনে উপস্থিত বাসদের কর্মীরা ওপর থেকে ডাকাডাকি করলে দুর্বৃত্তরা ভ্যানগার্ড কার্যালয় লেখা সাইনবোর্ডটি নিয়ে পালিয়ে যায় এবং বাসদের সাইনবোর্ডটি খোলার চেষ্টা করলেও সেটি নিতে পারেনি।’ এর আগে বুধবার (৯ এপ্রিল) রাতেও এক বার দুর্বৃত্তরা সাইনবোর্ড খুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। ওইদিনও বাসদের কর্মীরা দেখে ফেলায় তা নিতে পারেনি। বামজোট নেতৃবৃন্দ বাসদের অফিসের সাইনবোর্ড ভাঙচুর ও খুলে নেওয়ার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। একই সঙ্গে বাসদের অফিসসহ সব রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ের নিরাপত্তা বিধানে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান।

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে উত্তাল বায়তুল মোকাররম

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের চালানো বর্বর গণহত্যার প্রতিবাদ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম এলাকা শুক্রবার (১১ এপ্রিল) জুমার নামাজের পর উত্তাল হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন ইসলামী দল ও সংগঠনের ব্যানারে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল থেকে ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সংহতি জানানো হয় এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ইসরায়েলের ওপর চাপ প্রয়োগ করে গণহত্যা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়। শুক্রবার বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে এক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। একই সময় ‘বাংলাদেশ তিসরি ইনসাফ দল’ এবং ‘জাতীয় ইমাম সমাজ বাংলাদেশ’-এর পক্ষ থেকেও পৃথক বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়। সমাবেশে ইসলামী যুব আন্দোলনের নেতারা বলেন, ‘ইসরায়েল যে গণহত্যা চালাচ্ছে, তা মানবতার চরম লঙ্ঘন। এ অবস্থায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হলে তাদের সব পণ্য বয়কট করতে হবে। দেশের যেসব ব্যবসায়ী ইসরায়েলি পণ্য আমদানি করছেন, তাদের অনুরোধ করব-এই ব্যবসা থেকে দ্রুত সরে আসুন। দেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা সবসময় ফিলিস্তিনের পাশে থাকবে।’ তারা আরও বলেন, ‘বিশ্ব সন্ত্রাসী আমেরিকা ও ইসরায়েলের মদদে গাজায় যে গণহত্যা চলছে, তা আন্তর্জাতিক যুদ্ধনীতির পরিপন্থি। হামাসের সঙ্গে পারছে না বলে নিরীহ শিশু, নারী, সাধারণ মানুষকে হত্যা করছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। অথচ জাতিসংঘসহ কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থা কার্যকর ভূমিকা নিচ্ছে না। ওআইসিসহ সব সংস্থাকে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে।’ বাংলাদেশ তিসরি ইনসাফ দলের বিক্ষোভ থেকে বলা হয়, ‘গাজায় শিশুসহ অসংখ্য নিরীহ মানুষকে হত্যা করে ইসরায়েল মানবতাকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে। ইসরায়েলি পণ্য বর্জন করতে হবে এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে বিশ্বব্যাপী জনমত গড়ে তুলতে হবে।’ জাতীয় ইমাম সমাজ বাংলাদেশের নেতারা বলেন, ‘ইসরায়েলের বর্বর হামলা দাজ্জালের আবির্ভাবের ইঙ্গিত দেয়। মহানবী হযরত মুহাম্মদের (সা.) ভবিষ্যদ্বাণী আজ বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। এখন মুসলমান হিসেবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া ফরজ হয়ে গেছে। বাংলাদেশের ইসলামী দলগুলোর আন্দোলনে আমরা পূর্ণ সমর্থন জানাই।’ তারা বলেন, ‘বাংলাদেশের মতো অন্যান্য মুসলিম রাষ্ট্রগুলোও যেন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। ইসরায়েলি পণ্যের তালিকা করে বর্জন নিশ্চিত করতে হবে।’ বিক্ষোভ শেষে কয়েকটি মিছিলে বিভিন্ন সংগঠন থেকে ইসরায়েলের প্রতি ঘৃণা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ফিলিস্তিনের পাশে থাকার অঙ্গীকার করা হয়।

ইউনূস সরকারের প্রশংসা করে নাজমুলের পোস্ট

ইউনূস সরকারের প্রশংসা করলেন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাতে নিজের ফেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া পোস্টে তিনি লেখেন, আমাদের সরকারের সময়ের চাইতে এবারের রমজানে তেমন লোডশেডিং হয়নি। সিদ্দিকী নাজমুল লিখেছেন, যে শালারা লুটপাটপাট করে দলটাকে শেষ করলেন। অতিরঞ্জিত, অতিকথনে টেলিসামাদ স্টাইলে রাজনীতিকে জোকারিতে পরিণত করলেন। তাদের বিরুদ্ধে লিখলেই একদলের জ্বালা উঠে এভাবে যে, এখন ঐক্যের সময়, এখন এগুলো লিখা যাবে না। আবার ক্ষমতায় গেলে, এসব নিয়ে আলোচনা করা যাবে। মোটকথা, তাদের কথা হলো আমরা তাদের পক্ষে লিখে তাদের সব হালাল করব, আমরা আমাদের পরিবার জীবন দিবে আর তারা সুটেট-বুটেট হয়ে আবার আমাদের নেত্রীর চারপাশ দখলে রাখবেন। তিনি লেখেন, অনেক দিন নিঃশ্বাস বন্ধ রেখে চুপ থাকলাম, কিন্তু আমার মাথায় আসে না, আমাদের নেত্রী ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছানোর লক্ষে বিদ্যুৎ সেক্টরে অভূতপূর্ব উন্নতিসাধন করেছেন। কিন্তু আমাদের সরকারের সময়ের চাইতে এবারের রমজানে তেমন লোডশেডিং হয়নি। তার মানে হলো- প্রধানমন্ত্রীর চোখ ফাঁকি দিয়ে বিদ্যুৎ চোর বিপু এবং কিছু বিদ্যুৎ চোর আমলাদের সমন্বয়ে কৃত্তিম লোডশেডিং তৈরি করত এবং নিজেদের পছন্দের পাওয়ার প্লান্ট ব্যবসায়ীদের রমরমা একচেটিয়া ব্যবসা করার সুযোগ করে দিয়ে। সিন্ডিকেট করে কমিশন কামাত। বিদ্যুৎ চোর বিপু বড় ব্যবসায়ী বংশের রাজনৈতিক নেতার ছেলে ছিলেন আমাদের নেত্রী ভালো চিন্তা করেছিলেন, মনে করেছিলেন বড় লোকের ছেলে দায়িত্ব দিলে দুর্নীতি করবেন না। কিন্তু না নেত্রীর বিশ্বাস ভেঙে দিয়ে সর্বকালের সেরা বিদ্যুৎ চোরে পরিণত হয়েছেন বিপু। তিনি আরও লেখেন, বিপু একটা চোর চোর চোর। ওর বউ চোর, ভাই চোর, সন্তানেরা চোর। ওদের গত ১০ বছরের চলাচল দেখলে মনে হয়, বিপু রাজা আর আমরা প্রজা। নাজমুল লেখেন, বিপুর সমস্ত ব্যবসায় বাণিজ্য বিএনপি জামাতের নেতারা অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে দেখাশোনা করছেন। বিপুরা ক্ষমতা এবং টাকার কারণে নিজেদের ঈশ্বর মনে করতেন। তিনি পোস্টে লেখেন, চরিত্রহীন লম্পট পরিবার বিপুর পরিবার। ওই পরিবারের পুরুষদের চাইতে নারীরাও পিছিয়ে নেই। এই চোরের চুরির কারণে এবং বিপুর কেরামতিতে রাজনীতিকে রাজপথ থেকে এসি রুমে চলে গেছে ফাইভ স্টারে নিয়ে গেছেন রাজনীতিকে। ছাত্র-যুবক-শ্রমিক থেকে কর্পোরেটে নিয়ে গেছেন। ফলশ্রুতিতে আমরা ধ্বংস হয়েছি আর মুসলমানরা ফিলিস্তিনিদের রক্ষার জন্য যেমন আবাবিল পাখির অপেক্ষায় বসে আছেন আর আমরা আওয়ামী লীগের লোকজন শক্তিশালী কিংবা প্রতিবেশী রাষ্ট্রের অপেক্ষায় বসে আছি। যে তারা আমাদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। পোস্টে তিনি আরও উল্লেখ করেন, এলাকার রাজনীতিতেও বিপু জিরো। পুরো রাজনীতিটা করেন ওইখানে শাহীন চেয়ারম্যান। অত্যন্ত জনপ্রিয় কর্মীবান্ধব দুঃসময়ের শাহীন চেয়ারম্যানের সাজানো বাগানের মালিক হলো বিপু অথচ শাহীন চেয়ারম্যানের মতো পুরোনো মানুষের সঙ্গে উপজেলার সাধারণ সম্পাদক বানিয়েছেন বিপুর ব্যক্তিগত সহকারী এক ইয়ো ইয়ো বয়কে। নাজমুল ক্ষোভ প্রকাশ করে লেখেন, বিপু কিন্তু তার ছেলেমেয়েদের লাক্সারিয়াস লাইফ লিড করাচ্ছেন। কিন্তু আমি আপনি আমাদের ছেলে-মেয়েদের মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে হিমশিম খাচ্ছি। আমি সরকারি দলে থাকতেও সমালোচনা করেছি, নিজের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের জবাব দিয়েছি, বড় বড় যথী মহারথীদের সঙ্গেও অন্যায় ইস্যুতে ছাড় দেয়নি দিবও না। নেত্রী জীবিত যতদিন থাকবেন, ততদিন রাজনীতি করার চেষ্টা করব। আমার স্পষ্ট অবস্থান থেকে নেত্রী যেদিন থাকবে না, সেদিন থেকে আর রাজনীতিও করব না। দীর্ঘ পোস্টের সর্বশেষ তিনি লেখেন, নেত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে অনেক বারই বলেছেন- এই আওয়ামী লীগে শেখ হাসিনা ছাড়া সবাইকে কেনা যায়। ব্যক্তিগতভাবে এটা আমি শতভাগ বিশ্বাস করি এবং মানি।

দেশের নাম ‘বাংলাদেশ জনকল্যাণ রাষ্ট্র’ চায় ইসলামী আন্দোলন

বাংলাদেশের বর্তমান নাম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের পরিবর্তে নাগরিকতন্ত্র ও জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ চালুর প্রস্তাব করেছিল সংবিধান সংস্কার কমিশন। তবে নতুন প্রস্তাবনায় ‘পিপল ওয়েলফেয়ার স্টেট অব বাংলাদেশ’ তথা ‘বাংলাদেশ জনকল্যাণ রাষ্ট্র’ নামে প্রস্তাব দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে দেওয়া দলীয় মতামতে এমন প্রস্তাব দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন। জাতীয় সংসদ ভবনে অবস্থিত কমিশন কার্যালয়ে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের হাতে মতামত তুলে দেন দলটির প্রতিনিধিরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব ইউনুস আহমাদের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, ইমতেয়াজ আলম, সহকারী মহাসচিব আহমদ আবদুল কাইয়ুম এবং মিডিয়া সেলের প্রধান সমন্বয়ক কে এম শরিয়াতুল্লাহ। মতামত পেশ শেষে ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন সাংবাদিকদের বলেন, রাষ্ট্রের নাম হিসেবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রস্তাব করেছে ‘ওয়েলফেয়ার স্টেট অব বাংলাদেশ’। কারণ, এই নামের মধ্যেই জনকল্যাণ নিশ্চিত করার কথা বলা আছে। সংখ্যানুপাতিক হারে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সব নির্বাচন সংখ্যানুপাতিক হারে চাই। স্থায়ীভাবে স্বৈরাচার প্রতিরোধিতা কার্যকর পদ্ধতি। এ সময় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, স্বাধীনতার পর সবার অংশগ্রহণে রাষ্ট্রসংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে, যাতে রাজনৈতিক দলগুলো সহযোগিতা করছে। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করতে পারব। আগামী শনিবার থেকে প্রতিদিনই কমিশন একাধিক দলের সঙ্গে সংলাপ করবে। সংস্কার কমিশনগুলোর করা সুপারিশ চূড়ান্ত করতে গত ২০ মার্চ থেকে আনুষ্ঠানিক সংলাপ শুরু করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আগামীকাল শনিবার বাংলাদেশ জাসদ ও জাকের পার্টির সঙ্গে কমিশনের আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।

সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে: বিএনপি

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে বিএনপি ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। এ ছাড়া জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কিভাবে কর আহরণ বাড়ানো যায়, তা নিয়েও দলটি কাজ করতে চায়। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) আয়োজনে বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২৫–এ অংশ নিয়ে বিএনপি এসব পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। গতকাল বুধবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব তথ্য জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব। ‘১ ট্রিলিয়ন ডলার ইকোনমি’ শিরোনামে দেওয়া ওই পোস্টে মির্জা ফখরুল লিখেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই)/মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) লক্ষ্যমাত্রার শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ থেকে জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে বিএনপি। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বৃদ্ধি করা যায়, তা নিয়েও কাজ করতে চায় বিএনপি। বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআইকে জনপ্রিয় করতে বিএনপি ১১টি রেগুলেটরি পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছে বলেও পোস্টে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। এর মধ্যে আটটি প্রস্তাবের কথা তুলে ধরেছেন তিনি। এগুলো হলো বিডাকে কার্যকর করা, ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট বিধির আধুনিকীকরণ, বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৪x৭ (দিনে ২৪ ঘণ্টা ও সপ্তাহে ৭ দিন) সেবা চালু করা, স্বয়ংক্রিয় মুনাফা প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা, স্থানীয়ভাবে দক্ষ জনশক্তির ব্যবস্থা করা, বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের সঙ্গে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া এবং প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধি। সরকার গঠন করতে পারলে দেশের মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া, প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধির জন্য বিএনপি অতীতের চেয়েও ব্যাপক সফলতা অর্জন করতে চায় বলে জানান মির্জা ফখরুল। পোস্টে তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিনিয়োগ সম্মেলন উপলক্ষে এক শুভেচ্ছাবার্তায় তিনটি বিষয় বলেছেন। এগুলো হলো ঐক্যই ভবিষ্যৎ জাতীয় উন্নয়নের সোপান, এফডিআই আকৃষ্ট করতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সরকার আইন করেছিল এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সরকারগুলোর বিনিয়োগবান্ধব নীতি ছিল।

সুযোগ থাকলে ফিলিস্তিনের পক্ষে যুদ্ধ করতাম: মির্জা আব্বাস

বিশ্বের কোথাও মুসলমানের ওপর অত্যাচার হলে প্রতিবাদের পাশাপাশি বিএনপি প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, যদি সুযোগ থাকতো আমরা (ফিলিস্তিনের পক্ষে) যুদ্ধ করতাম। আমরা যদি কার্যকর পদক্ষেপ না নিতে পারি তাহলে একে একে সব মুসলিম রাষ্ট্রকে তারা ধ্বংস করবে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশেও মুসলমানদের নির্যাতন করা হচ্ছে। আমরাও সেটা প্রতিহত করার চেষ্টা করবো। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে র‌্যালি শুরুর আগে প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গাজা ও রাফায় ইসরায়েলের নৃশংস গণহত্যার প্রতিবাদ এবং নির্যাতনের শিকার ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে এই প্রতিবাদ র‌্যালি করে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি। মির্জা আব্বাস বলেন, ওরা (ইসরায়েল) ফিলিস্তিনের মুসলমানদের ওপর নির্যাতন করছে, এক এক করে সব মুসলমানের ওপর নির্যাতন করবে, ধ্বংস করার চেষ্টা করবে। আজ যারা বিশ্বের মুসলিম মোড়ল আছেন, তারা তাদের রাজত্ব টিকে রাখতে নেতৃত্বে আসছেন না, এই হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে যারা রুখে দাঁড়াচ্ছে না তাদের প্রতি ধ্বংস নেমে আসবে। বিশ্বের কোথাও মুসলমানের ওপর অত্যাচার হলে প্রতিবাদের পাশাপাশি বিএনপি প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ফিলিস্তিনের রাফা ও গাজায় ইসরায়েল হামলা, গণহত্যা চালালেও অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত তেমন কোনো প্রতিবাদ চোখে পড়েনি। এমনকি সুশীল সমাজেরও কোনো প্রতিবাদ চোখে পড়েনি। বিএনপি বরাবরই মানবতার পক্ষে, অন্যায়ের বিপক্ষে। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ও নির্যাতনের প্রশ্নে মুসলিম বিশ্বের মোড়লদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ বলে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আওয়ামী লীগ ইসরায়েলকে পরোক্ষভাবে মদত দিয়েছিল। এমনকি আড়িপাতার যন্ত্র কিনে এ দেশের বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের ওপর নিপীড়ন নির্যাতন চালিয়েছে। তিনি বলেন, সারা পৃথিবীতে নির্যাতিত মানুষের অপর নাম ফিলিস্তিনের জনগণ। মুসলিম বিশ্বের নীরবতার কারণে সারা পৃথিবীতে মুসলিম জনগণ গণহত্যার শিকার হচ্ছে, সেটা আরাকান থেকে ফিলিস্তিন পর্যন্ত সারা বিশ্ব বিস্তৃত। ফিলিস্তিনি জনগণ নিজ দেশে পরবাসী হয়ে গেছে উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ফিলিস্তিনের জনগণ ১৯৪৮ সালের পর থেকে তীব্রভাবে ইসরায়েলি হামলার শিকারে পরিণত হয়েছে। তারা এখন আপন দেশে পরবাসী হয়ে গেছে। বিশ্বের কিছু পরাশক্তির সমর্থনে ইসরায়েল যে গণহত্যা শুরু করেছে তা আজ নয়, বহুদিন আগে থেকে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক। এছাড়া র‌্যালিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, আব্দুস সালাম পিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, আব্দুস সালাম আজাদ, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, নির্বাহী কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম নীরব, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব তানভীর আহমেদ রবিন, জাতীয়তাবাদী যুবদল সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নসহ বিএনপি ও অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে র‌্যালি কাকরাইল, মালিবাগ, মৌচাক, বাংলামোটর প্রদক্ষিণ করে কারওয়ানবাজার মোড়ে এসে শেষ হয়। এতে বিএনপি নেতাকর্মীরা ফিলিস্তিনের পতাকা, কাফন মোড়ানো শিশুদের প্রতীকী মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ করেন।

বিমান বানিয়ে ভাইরাল জুলহাসকে আবারও আর্থিক সহায়তা দিলেন তারেক রহমান

মানিকগঞ্জের যুবক জুলহাস মোল্লার তৈরি করা বিমানে নতুন ইঞ্জিন লাগানো এবং প্রয়োজনীয় কিছু সংস্কার করার জন্য তাকে দ্বিতীয় দফায় আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জুলহাস মোল্লার হাতে অর্থ সহায়তা দেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। যার আয়োজন করে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ নামের বিএনপির একটি সংগঠন। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খানম রিতা, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জেড খান রিয়াজ উদ্দিন নসু, আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন, সদস্যসচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন, মিডিয়া সেলের সদস্য জাহিদুল ইসলাম রনি, অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স-বাংলাদেশের (এ্যাব) সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সালাহউদ্দিন আহমেদ রায়হান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে আতিকুর রহমান রুমন বলেন, ‘জুলহাস যখন বিমানটি তৈরি করেন, তখন আমরা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানে নির্দেশে তার কাছে গিয়েছিলাম। ওখানে তাকে উৎসাহ দিয়েছিলাম। বলেছিলাম, জুলহাস মোল্লার পাশে আমরা সব সময় থাকব। তারই অংশ হিসবে এই প্লেনটি মোডিফাই করার জন্য আমাদের কাছে সাহায্য চান।তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজকের এই অনুদান দেওয়া।’ আর্থিক অনুদান পাওয়ার পর জুলহাস মোল্লা তার অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, ‘আমাকে অনেকেই চিনত না, এখন অনেকেই চেনেন। আমার পাশে দাঁড়ানোর জন্য তারেক রহমানকে ধন্যবাদ জানাই। তার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ থাকব।আসলে একজন মানুষ যখন আলোচনায় আসে, সবাই তার পাশে থাকার অভিনয় করে। কিন্তু প্রকৃত যারা পাশে থাকে, তাদের আজকে দেখতে পাচ্ছেন। আমি তাদের সবার কাছে কৃতজ্ঞ।’প্রসঙ্গত, নিজ চেষ্টায় উড়োজাহাজ বানিয়ে সারা দেশে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন মানিকগঞ্জের জুলহাস মোল্লা। ২৮ বছর বয়সী এই তরুণের প্রতিভা ও সৃজনশীলতা দেখে এর আগেও তার পাশে দাঁড়িয়েছেন তারেক রহমান।গত ৫ মার্চ শিবালয় উপজেলার জাফরগঞ্জ বাজার এলাকায় গিয়ে জুলহাস মোল্লাকে ৫০ হাজার টাকা দেন আফরোজা খানম রিতা ও আতিকুর রহমান রুমন। এবার দ্বিতীয়বারের মতো আর্থিক সহায়তা দেওয়া হলো।

মিরপুরে ছাত্রলীগের তিন নেতাকে চিনতে পেরে ব্যাপক মারধর

রাজধানীর মিরপুরের শাহআলী থানাধীন এলাকায় পাবনা জেলা ছাত্রলীগের তিন নেতাকে চিনতে মারধর করেছে উত্তেজিত জনতা। খবর পেয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাদের শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে পুলিশ। বুধবার(৯ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ১০ থেকে ১১ টার মধ্যে শাহআলীর বি ব্লকের মনি কানন উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন শাহআলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, “আমরা জেনেছি তিনজনই ছাত্রলীগের নেতা। তারা পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত। তবে তাদের নাম এখনো নিশ্চিত নই। তাদের মধ্যে দুজনের নামে পাবনায় একাধিক মামলা আছে বলে তথ্য এসেছে। আমরা তাদের সঠিক নাম পরিচয় ও মামলার তথ্য যাচাই-বাছাই করছি।” কে বা কারা কেন মারধর করলো জানতে চাইলে ওসি বলেন, “তারা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত, চিনতে পেরে কয়েকজন মারধর শুরু করে। পরে আরও অনেকে অংশ নেয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।”