
কানাডার সঙ্গে নতুন করে বাণিজ্য আলোচনা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রোনাল্ড রিগানের একটি পুরোনো বক্তব্য ব্যবহার করে তৈরি করা কানাডার রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনকে কেন্দ্র করেই এই সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেন তিনি।
শনিবার (১ নভেম্বর) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানানো হয়। এর আগের দিন ট্রাম্প বলেন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি ওই বিজ্ঞাপনের জন্য তার কাছে দুঃখ প্রকাশ করলেও আলোচনার বিষয়টি আর এগোবে না। তিনি বলেন, “আমি তাকে অনেক পছন্দ করি, কিন্তু তারা যা করেছে, তা ভুল ছিল। ওই বিজ্ঞাপনটা ভুয়া ছিল বলে তিনি ক্ষমা চেয়েছেন।”
তবে এ বিষয়ে কার্নির দপ্তর এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য জানায়নি।
গত সপ্তাহে বিজ্ঞাপন বিতর্কের পর ট্রাম্প কানাডার সঙ্গে চলমান বাণিজ্য আলোচনা বাতিল করেন এবং কানাডার পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন।
অন্টারিও প্রাদেশিক সরকারের তৈরি ওই বিজ্ঞাপনে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান নেতা রোনাল্ড রিগানের বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলা হয়, বিদেশি পণ্যে শুল্ক আরোপ বাণিজ্যযুদ্ধের ঝুঁকি বাড়ায় এবং কর্মসংস্থান হ্রাস করে। বিজ্ঞাপনটি যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারিত হয়। ট্রাম্প একে “ভুয়া” বলে অভিহিত করেন।
আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, অন্টারিওর প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ডের দল রিগানের পুরোনো ভাষণ থেকে অংশ কেটে এক মিনিটের বিজ্ঞাপনটি তৈরি করেছিল। যদিও ব্যবহৃত বক্তব্যগুলো রিগানের আসল ভাষণ থেকেই নেওয়া হয়।
বিতর্কের পর ডগ ফোর্ড বিজ্ঞাপন প্রচার স্থগিত করেন, যাতে দুই দেশের মধ্যে আলোচনার পরিবেশ পুনরুদ্ধার করা যায়। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী কার্নি জানিয়েছেন, কানাডা বাণিজ্য আলোচনায় বসতে প্রস্তুত রয়েছে।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র ঐতিহাসিকভাবে কানাডার সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার। কানাডার মোট রপ্তানির প্রায় ৭৫ শতাংশই যুক্তরাষ্ট্রে যায়। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন শুল্ক নীতি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ককে অস্থিতিশীল করে তুলেছে।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন[email protected]ঠিকানায়।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন[email protected]ঠিকানায়।