নভেম্বরেই গণভোটের দাবিতে নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি দিতে জামায়াতসহ ৮ দল
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১২:৪৬ পিএম, ৩০ অক্টোবর ২০২৫
আগামী নভেম্বরে গণভোটের আয়োজনের দাবিতে নির্বাচনী পদক্ষেপকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে ঢুকেছে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলনসহ মোট আটটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত প্রতিনিধিদল। তারা জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের জন্য আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।
নেতাদের উপস্থিতি ও স্মারকলিপি প্রদানের আগে সকাল ১১টা থেকে এসব দল নির্বাচনী ভবনের সামনে সমাবেশ শুরু করে।
অংশগ্রহণকারী আটটি দল হলো: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি।
সকালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নির্বাচনী ভবনের সামনে এবং জামায়াতে ইসলামী মেট্রোরেল স্টেশনের কাছে পাকা মার্কেট সংলগ্ন সড়কের পাশে অস্থায়ী মঞ্চ স্থাপন করে সমাবেশের আয়োজন করে। জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম, মোবারক হোসেন, রেজাউল করিম, নাজিম উদ্দিন মোল্লাসহ শতাধিক নেতাকর্মী এই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে নেতারা বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের জন্য সাংবিধানিক আদেশ অনুযায়ী নভেম্বরে গণভোট করানো এবং সংসদ নির্বাচনে সকলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা জরুরি। জামায়াতের নাজিম উদ্দিন মোল্লা বলেন, “নভেম্বরের মধ্যে গণভোট আয়োজন করতে হবে। আমরা আট দল মিলে ইসির কাছে স্মারকলিপি দেব।”
নেতারা সতর্কবার্তা দেন, তাদের দাবি মানা না হলে বর্তমান নির্বাচন কমিশনও ‘বিগত ইসির পরিণতি ভোগ করতে হবে’। একই সময়ে জামায়াত নেতারা গণভোট ও সংসদ নির্বাচনে বিএনপির দাবির কঠোর সমালোচনা করেন।
উল্লেখ্য, এই আটটি রাজনৈতিক দল গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ দফা দাবির ভিত্তিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। বৃহস্পতিবারের স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচি ছিল তাদের চলমান আন্দোলনের চতুর্থ পর্ব।
তাদের পাঁচ দফা দাবি হলো: জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে আদেশ জারি ও ওই আদেশের ওপর আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে গণভোট আয়োজন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয়কক্ষে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি চালু, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সকলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত, ‘ফ্যাসিস্ট’ সরকারের জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির দৃশ্যমান বিচার, এবং ‘স্বৈরাচারের দোসর’ জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।