নভেম্বরে গণভোটের দাবিতে ইসির সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ


নভেম্বরে গণভোটের দাবিতে ইসির সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ

জাতীয় সংসদে জুলাই সনদ কার্যকর করার আইনি ভিত্তি তৈরি এবং নভেম্বরে গণভোট আয়োজনের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও জাগপা বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের সামনে বিক্ষোভ করেছে। এ সময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, খেলাফত মজলিসসহ মোট আটটি রাজনৈতিক দলও স্মারকলিপি দাখিলের কর্মসূচির অংশ হিসেবে সমাবেশে অংশ নিয়েছে।

বেলা ১১টায় আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সামনে মেট্রোরেল স্টেশনের পাশে পাকা মার্কেট সংলগ্ন সড়কে ট্রাকের ওপর অস্থায়ী মঞ্চ গড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে নেতারা বলেন, “জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে সাংবিধানিক আদেশ জারি করে নভেম্বরে গণভোট করতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। সংসদ নির্বাচনের সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করতে হবে। তা না হলে বিগত ইসির পরিণতি ভোগ করতে হবে বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে।”

গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি পাঁচ দফা দাবির সঙ্গে আন্দোলন চালিয়ে আসছে।

এর ধারাবাহিকতায় ১৯ অক্টোবর জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা আটটি দল আগস্টের সনদ বাস্তবায়নে ‘আদেশ’ জারি এবং নভেম্বরের মধ্যে গণভোট আয়োজনসহ পাঁচ দফা দাবিতে চলমান আন্দোলনের চতুর্থ পর্যায়ে বিক্ষোভ ও মিছিলের তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল।

সমাবেশে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, মোবারক হোসেন, রেজাউল করিম, নাজিম উদ্দিন মোল্লাসহ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। নাজিম উদ্দিন মোল্লা বলেন, “নভেম্বরের মধ্যে গণভোট আয়োজন করতে হবে। আমরা আট দল মিলে ইসির কাছে স্মারকলিপি দেবো।”

এ সময় তারা গণভোট ও সংসদ নির্বাচনে বিএনপির দাবির তীব্র সমালোচনা করেন। ইসলামী আন্দোলনের নেতারা নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজনের তাগিদ দিয়ে বলেন, “গণভোটসহ আমাদের দাবি না মানলে ইসির পরিণতি আগের মতোই হবে। এ নিয়ে কোনো টালবাহানা চলবে না।”

পাঁচ দফা দাবি:
১. জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে আদেশ জারি এবং ওই আদেশের ওপর আগামী নভেম্বরে গণভোট আয়োজন।
২. আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি চালু করা।
৩. অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা।
৪. ‘ফ্যাসিস্ট’ সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা।
৫. ‘স্বৈরাচারের দোসর’ জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×