রয়টার্সকে সাক্ষাৎকারে হাসিনা: তিনি বা তার পরিবারের কেউ আর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে নাও থাকতে পারেন


রয়টার্সকে সাক্ষাৎকারে হাসিনা: তিনি বা তার পরিবারের কেউ আর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে নাও থাকতে পারেন

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্সকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, তিনি বা তার পরিবারের কেউ হয়তো আর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে থাকবেন না।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করছেন। সেখানে থেকেই বুধবার রয়টার্সকে দেওয়া এ সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন। এটি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তার প্রথম আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎকার।

বর্তমানে দেশে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ, এমন প্রেক্ষাপটে শেখ হাসিনা বলেন, “এটা আমি বা আমার পরিবারের ব্যাপার নয়। বাংলাদেশ যে ভবিষ্যৎ চায়, তা অর্জন করতে হলে সাংবিধানিক শাসন ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতেই হবে। কোনো একক ব্যক্তি বা পরিবার দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে না।”

তার এই বক্তব্য কিছুটা ভিন্ন সুরে এসেছে ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের আগের মন্তব্যের তুলনায়। গত বছর ওয়াশিংটনে রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জয় বলেছিলেন, “অনুরোধ এলে তিনি আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব গ্রহণের বিষয়টি বিবেচনা করবেন।”

রয়টার্সকে ই-মেইলে পাঠানো উত্তরে শেখ হাসিনা আরও বলেন, “আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা কেবল অন্যায়ই নয়, এটি আত্মঘাতীও বটে।”

তিনি জানান, আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে গঠিত কোনো সরকারের অধীনে দেশে ফিরবেন না এবং বর্তমানে ভারতে থাকার পরিকল্পনা নিয়েছেন।

দেশে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, “আমি দেশে ফিরতে চাই, তবে শর্ত একটাই—সেখানে বৈধ সরকার থাকতে হবে, সংবিধান অটুট থাকতে হবে এবং প্রকৃত আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে।”

উল্লেখ্য, গত জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে সহিংস দমন-পীড়ন ও গুমসহ নানা অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা চলছে।

এ ছাড়া ট্রাইব্যুনাল ইতিমধ্যে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার যেকোনো ‘বিদ্বেষমূলক বক্তব্য’ প্রচার বা প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×