প্রতিরক্ষা বাহিনীগুলোর মধ্যে ভারসাম্য নষ্ট হোক আমরা চাই না: সালাহউদ্দিন
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৯:৩০ পিএম, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, দেশের সব অর্গানের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে উপদেষ্টা সতর্কভাবে এগোন। তিনি বলেন, “আমরা চাই না প্রতিরক্ষা বাহিনীর মধ্যে কোনো ভারসাম্য নষ্ট হোক। এটা এই মুহূর্তে আমাদের জন্য সহনীয় নয়। আপনার সঙ্গে প্রতিরক্ষা বাহিনীর সুসম্পর্ক বজায় থাকা জরুরি। একটা ব্যালেন্সড অবস্থা থাকতে হবে।”
বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাতের জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের জরুরি বৈঠকে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সালাহউদ্দিন এসব কথা বলেন। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা কোনো ঝামেলার মধ্যে যেতে চাই না, এবং পারবও না। পতিত স্বৈরাচার ও তাদের অনুসারীরা সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করবে। আমাদের অবশ্যই ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে, যার কোনো বিকল্প নেই।”
সালাহউদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন অনির্বাচিত সরকারের কারণে সৃষ্ট সমস্যা এখনো রয়ে গেছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে, নাহলে দেশের অভ্যুত্থানের পরে অন্যান্য দেশের মতো সমস্যার বিস্তার ঘটতে পারে।
তিনি জুলাই জাতীয় সনদ প্রসঙ্গে বলেন, “স্বাক্ষরের জন্য আমরা অপেক্ষা করছি। যেসব বিষয়ে নোট অব ডিসেন্ট আছে, তা প্রধান উপদেষ্টা আপনার নেতৃত্বে ঐকমত্য কমিশনের সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তৈরি হয়েছে। নোট অব ডিসেন্ট না থাকলে দীর্ঘ ১২ মাসের এই প্রক্রিয়ার প্রয়োজন হতো না।”
সালাহউদ্দিন মন্তব্য করেন, “প্রস্তাবিত কিছু বিষয় আমাদের বাস্তবতার সঙ্গে পুরোপুরি মিলে না। আলোচনায় আমরা বাংলাদেশী রাজনৈতিক সংস্কৃতি, ধর্মীয় ও সামাজিক কালচার, মানবাধিকার এবং বিচার ব্যবস্থার বাস্তবতা বিবেচনা করেছি।”
তিনি বিএনপির সমর্থন প্রসঙ্গে বলেন, “আমাদের সমর্থন আপনার প্রতি আছে, তবে এটি শর্তসাপেক্ষ। আমরা চাই আপনার নেতৃত্বে একটি ঐতিহাসিক নির্বাচন হোক। এটি আমাদের সীমারেখার মধ্যে সমর্থন।”
সালাহউদ্দিন আরও উল্লেখ করেন, সচিবালয়ে নিয়োগ ও পদোন্নতি সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ কমিটির কার্যক্রম নিয়ে দলটি অসন্তুষ্ট। তিনি বলেন, “আমাদের খুব অসন্তুষ্টি প্রকাশ করতে হচ্ছে। প্রতিটি পদক্ষেপ বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।”
বৈঠকে বিএনপির পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), গণসংহতি আন্দোলন, জেএসডি (রব), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, এবি পার্টি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।