আরেকটি ১/১১’র মাধ্যমে আ.লীগ ফিরলে কারো রক্ষা হবে না: রাশেদ খান
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৬:৩৫ পিএম, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

ভোটের আগে নানা দাবিদাওয়া নিয়ে তীব্রপ্রচেষ্টা ও সামাজিক আন্দোলনের ছোঁয়ায় দেশে একটি নতুন ১/১১‑সৃষ্টির স্বরূপ দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ফিরে এলে কাউকেই বাঁচতে দেওয়া হবে না।
রাশেদ খান সোমবার (১৩ অক্টোবর) তার ফেসবুক পেজে দেওয়া একটি পোস্টে এই আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি লেখেন, নির্বাচন যত নিকটে আসবে, বিভিন্ন দাবি-দাওয়াকে কেন্দ্র করে আন্দোলন তত প্রবল হবে। বাইরের চেহারায় মনে হবে সাধারণ চাকরিজীবী বা শিক্ষার্থীরাই এগিয়ে এসেছে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এসবের মধ্যে রাজনৈতিক প্ররোচনা ও পৃষ্ঠপোষকতা কাজ করবে। তাঁর ভাষায়, এসব আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য হবে দেশে অস্থিরতা তৈরি করে নির্বাচনী প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করা এবং সেটির মাধ্যমে আরেকটি ১/১১ সৃষ্টি করা।
পোস্টে তিনি একটি উদাহরণও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আনসার সমাবেশের নামে সচিবালয়ের সামনে ছাত্রলীগের সমাবেশ করা হয়েছিল এবং স্থানীয় আনসার সদস্যদের মধ্যে আওয়ামী পরিবারের লোকজন ওই সমাবেশের নেতৃত্ব দিয়েছে। আনসার সদস্যদের অধিকার আদায়ের কথা বলা হলেও তাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার ষড়যন্ত্র ছিল, যা পরে সাধারণ আনসার সদস্যরাও উপলব্ধি করে।
রাশেদ খান বলেন, সামনে যে কোনো আন্দোলনের ভেতরে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য লুকানো থাকতে পারে। তিনি আরও বলেন, ভারত ও আওয়ামী লীগ সামাজিক আন্দোলনকে কাজে লাগিয়ে দেশকে অচল বা ব্যর্থ করতে চেষ্টা করছে। তিনি প্রশ্ন রাখেন, আমরা কি সেই সুযোগ দেব নাকি সচেতন হব।
সাধারণ দলে থাকা চাকরিজীবী ও শিক্ষার্থীদের সতর্ক থাকতে অনুরোধ করে রাশেদ খান বলেন যে যৌক্তিক দাবিদাওয়ার আন্দোলন যাতে স্বৈরাচারের অনুগামীরা রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করতে না পারে, সে ব্যাপারে আন্দোলনকারীদের নিজেই সতর্ক থাকা দরকার। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে আন্দোলন শান্তিপূর্ণ হতে হবে এবং যেন এটি জনগণের ভোগান্তি সৃষ্টি না করে বা রাষ্ট্রকে অচল করে না। পাশাপাশি তিনি প্রস্তাব করেন, সরকারও দাবির যৌক্তিকতা বিবেচনা করে দ্রুত সমাধান করবে।
গণ অধিকার পরিষদের এই নেতা আরও সতর্কবার্তা দেন যে সরকার যদি ঘোষিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন না করে, তাহলে দেশে ১/১১-এর মতো সংকট দেখা দেবে এবং সে সংকটের জেরে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ কয়েকজন উপদেষ্টাকে জেলে পাঠানো হবে। তিনি জানান, যারা লিয়াজোঁ করবে তারা হয়তো নতুন ১/১১-এর সরকারের অংশ হয়ে থাকবে, আর যারা গণ-অভ্যুত্থানের শক্তি ছিলেন, তাদেরকে একে একে ফাঁসিতে ঝোলানো হতে পারে।
শেষে রাশেদ খান বলেন, "সুতরাং আমরা যা করি, যা বলি, সেগুলো যেন ভেবে‑চিন্তে করি। যারা মনে করছেন, আওয়ামী লীগ ফিরলে আমার কী? তারাই সবার আগে বিপদে পড়বেন। আরেকটি ১/১১‑এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ফিরলে কারো রক্ষা হবে না।"