এনসিপি একক অথবা জোটে নির্বাচনে যেতে পারে: সারজিস আলম


এনসিপি একক অথবা জোটে নির্বাচনে যেতে পারে: সারজিস আলম

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নানা কৌশল বিবেচনায় রাখছে। দলটির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম জানিয়েছেন, দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এনসিপি নিজস্বভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে, আবার প্রয়োজন বুঝে কোনো জোটের মাধ্যমেও মাঠে নামতে পারে। তবে জোটবদ্ধ হলেও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে এনসিপি’র নিজস্ব নামেই এবং তাদের প্রত্যাশা, দলটি ‘শাপলা’ প্রতীকেই নির্বাচন করবে।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে জামালপুর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সমন্বয় সভা শেষে সংবাদকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন সারজিস আলম।

নির্বাচনী প্রতীক ‘শাপলা’ নিয়ে সারজিস আলম বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের আইন অঙ্গন থেকে শুরু করে যারা এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ আছেন, সচিব, নির্বাচন কমিশনসহ সবার সঙ্গে কথা বলেছি। শাপলা প্রতীক দিতে আইনগত কোনো বাধা নেই। যেহেতু আইনগত বাধা নেই, তাই আমরা প্রত্যাশা করি, আমাদের সঙ্গে অভ্যুত্থান–পরবর্তী বাংলাদেশে, এমন একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন কোনোভাবেই প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে স্বেচ্ছাচারমূলক আচরণ করবে না। আমরা প্রত্যাশা করি, আমরা শাপলা প্রতীক পাব এবং সেই প্রতীকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব।’

ফেব্রুয়ারিতে নির্ধারিত নির্বাচন প্রসঙ্গে দলের অবস্থান জানতে চাইলে সারজিস আলম জানান, নির্বাচন নিয়ে তাদের আপত্তি নেই যদি জুলাই সনদ বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা মেলে এবং গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচার দৃশ্যমান হয়।

তিনি বলেন, ‘একটি কনফারেন্সে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর নিজেই আমাদের কাছে বলেছিলেন, শেখ হাসিনাসহ এই খুনগুলোর সঙ্গে যারা সরাসরি নির্দেশদাতা ও সরাসরি সম্পৃক্ত, তাদের বিচারের রায় আগামী ডিসেম্বরে কার্যকর হবে। আমরা সেটার অপেক্ষায় আছি। এ রকম আস্থা যদি আমরা পাই, তাহলে আমরা মনে করি, এই ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হওয়াতে কোনো বাধা থাকতে পারে না।’

সংবিধান অনুযায়ী উচ্চকক্ষ বা দ্বিতীয় কক্ষে অনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (PR) ভিত্তিক নির্বাচনের বিষয়ে এনসিপি’র দৃষ্টিভঙ্গিও স্পষ্ট করেন সারজিস আলম। তিনি জানান, বর্তমান বাস্তবতায় উচ্চকক্ষে PR বাস্তবায়ন সম্ভব এবং দলটি সেই পদ্ধতির পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।

তার ভাষায়, ‘এনসিপি মনে করে যে বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতায় উচ্চকক্ষে পিআর হতে পারে এবং এটা জানিয়েছিল ঐকমত্য কমিশন। আমরা মনে করি, উচ্চকক্ষে যদি পিআর বাস্তবায়নযোগ্য হয়, সফলতার মুখ দেখে এবং বাস্তবায়ন হয়, আগামী দিনে বাংলাদেশের মানুষই সিদ্ধান্ত নেবে নিম্নকক্ষে পিআর হবে কি না। এ মুহূর্তে এনসিপির স্পষ্ট অবস্থান, আগামী নির্বাচনে আমরা উচ্চকক্ষে পিআরের পক্ষে এবং এ মুহূর্তে নিম্নকক্ষে পিআরের পক্ষে নই।’

জামালপুরে অনুষ্ঠিত এ সমন্বয় সভায় সভাপতিত্ব করেন এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব লুৎফর রহমান। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দলটির ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকিন আলমসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার নেতৃবৃন্দ ও কর্মীরা।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×