পাহাড়ে হঠাৎ করে অশান্তির লক্ষণ উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার জন্ম দিচ্ছে: রিজভী
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৭:৩০ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

দেশের বিভিন্ন খাতে অস্থিরতার ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, পাহাড়ের মতো গার্মেন্টস সেক্টরেও অশান্তির ছাপ স্পষ্ট, যা মানুষের মনে গভীর উদ্বেগ তৈরি করছে।
মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
রিজভী বলেন, এসব কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। প্রতিটি ঘটনার পেছনে একটি চক্র সক্রিয় রয়েছে। তাই আমাদের সবার দায়িত্ব কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশবিরোধী যেকোনো চক্রান্ত ব্যর্থ করে দেওয়া। ষড়যন্ত্রকারীদের পরিকল্পনা নস্যাৎ করতেই হবে।
তিনি জামায়াতের এক নেতার সাম্প্রতিক বক্তব্যকে বিপজ্জনক বলে উল্লেখ করেন। ওই নেতা দাবি করেছিলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ বাংলাদেশে আক্রমণ চালাতে পারে এবং যুদ্ধও হতে পারে। রিজভীর প্রশ্ন, এমন কথা কেন আসছে? এটা কি কোনো পাতানো বিষয়? তিনি বলেন, পানি ও বাণিজ্যসহ অনেক অমীমাংসিত ইস্যু থাকলেও সেগুলো কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব। কিন্তু যুদ্ধের আশঙ্কা ছড়ানো স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ববিরোধী।
বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, আমরা একসময় এক ফ্যাসিবাদের পতন দেখেছি। আজ আবারও পাতাল থেকে আরেকটি ফ্যাসিবাদ মাথা তুলছে কি না, তা নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন জেগেছে। জামায়াত নেতার ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণার মন্তব্যের পেছনে বড় কোনো গেম প্ল্যান লুকিয়ে আছে কিনা, তা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে।
দুর্গাপূজার সপ্তমীর প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, উৎসবটি আনন্দ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হলেও নানা ধরনের অপতৎপরতার শঙ্কা আছে। তিনি দাবি করেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা সারাদেশের প্রায় ৩৫ হাজার পূজামণ্ডপে নিরাপত্তা তদারকির দায়িত্ব পালন করছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও প্রতিদিন নেতাকর্মীদের সম্প্রীতি বজায় রাখতে এবং উৎসব নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিচ্ছেন।
রিজভী অভিযোগ করেন, দেশের ভেতরে ও বাইরে কিছু মহল বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিনষ্টের ষড়যন্ত্র করছে। বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে অসন্তোষ ছড়িয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা চলছে। তিনি সব গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, উৎসবকেন্দ্রিক যেকোনো উসকানি প্রতিহত করতে সতর্ক থাকতে হবে।
এসময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, নির্বাহী কমিটির সদস্য (দপ্তর সংযুক্ত) আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারীসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।