মহানবী (সা.) ইসলাম কায়েমের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন: তারেক রহমান


মহানবী (সা.) ইসলাম কায়েমের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) আইয়ামে জাহেলিয়াতের অন্ধকার যুগ দূর করে ইসলাম কায়েমের মাধ্যমে সত্য, ন্যায়বিচার ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে বৃহস্পতিবার এক বাণীতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তারেক রহমান বলেন, “সমাজে অবহেলিত, নির্যাতিত, বঞ্চিত ও দুঃখী মানুষের সেবা, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা, পরমতসহিষ্ণুতা, দয়া ও ক্ষমা, শিশুদের প্রতি দায়িত্ববোধ এবং নারী জাতির মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় মহানবী (সা.)-এর আদর্শ অতুলনীয়। তাই তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হিসেবে স্বীকৃত।”

তিনি বলেন, ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী মহানবী (সা.)-এর দুনিয়াতে আগমনের দিন এবং তাঁর জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে তা উদযাপনের দিন। এই দিন আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ উপহার হিসেবে মানবজাতির জন্য পাঠানো মহানবীর আগমনে মানুষ সত্য, কল্যাণ ও মুক্তির দিশা পায়।

তারেক রহমান আরও বলেন, “মহানবী (সা.) সারা বিশ্বের জন্য রহমতস্বরূপ। আল্লাহ তাঁকে দিয়েছেন মহিমান্বিত মর্যাদা। তাঁর আগমন একটি আলোকিত বিস্ময়, যা মানবজাতিকে অন্যায়-অবিচার ও বৈষম্যের অন্ধকার থেকে মুক্তির পথ দেখিয়েছে। এজন্যই তিনি হয়েছেন মানবতার মুক্তির দিশারী।”

তিনি বলেন, রাসূল (সা.)-এর আদর্শ মানবজীবনে ন্যায় ও সততার অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। তাঁর আত্মপ্রত্যয়, পরিশ্রম, সাহস, সহনশীলতা, ধৈর্য এবং সৃষ্টিকর্তার প্রতি অগাধ বিশ্বাস তাঁকে আল-কোরআনের বাণী প্রচারে নেতৃত্ব দেয়। আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগে প্রচলিত অনাচার-অরাজকতার মধ্যে তাঁর আগমন ছিল রহমাতুল্লিল আলামীন হিসেবে।

তারেক রহমান বলেন, “আমি আল্লাহ রাব্বুল আল-আমিনের নিকট প্রার্থনা করি, মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা ও ত্যাগের মহিমা যেন আমরা নিজেদের জীবনে প্রতিফলিত করতে পারি।” তিনি বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম উম্মাহকে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবীর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান এবং শেষ নবী হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি অসংখ্য দরুদ ও সালাম প্রেরণ করেন।

অন্য এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “আজ পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী, বিশ্বজগতের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানবের আবির্ভাবের দিন।” তিনি বলেন, এই দিনটি নবীজির সততা, নম্রতা, উদারতা ও ন্যায়বিচারের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর এবং তাঁর দেখানো পথে চলার অনুপ্রেরণার এক মহিমান্বিত মুহূর্ত।

মির্জা ফখরুল বলেন, “বিশ্বমানবের কাছে এক অসাধারণ আলোকবর্তিকা ছিলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.)। তাঁর মানবতা, সহমর্মিতা ও সত্যবাদিতা মানবজাতির জন্য চিরন্তন শিক্ষা হয়ে থাকবে।” তিনি আরও বলেন, কৈশোর থেকেই নবীজী মিথ্যার বিরুদ্ধে ছিলেন অকুতোভয় এবং কখনো আমানতের খেয়ানত করেননি। ছোটদের প্রতি স্নেহ এবং বড়দের প্রতি সম্মান প্রদর্শনে তিনি ছিলেন আদর্শ।

তিনি বলেন, “পরম সত্যের সন্ধানে নিজেকে নিয়োজিত রেখে মহানবী (সা.) ৪০ বছর বয়সে নবুয়ত লাভ করেন। কঠোর পরিশ্রম এবং সীমাহীন নির্যাতনের মধ্য দিয়ে তিনি তাওহীদের বাণী বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দেন।” আল্লাহ পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ করে যা ইহজগৎ ও পরজগতের মুক্তির নির্দেশনা দেয় এবং মুসলমানদের জীবনে শৃঙ্খলা ও মানবতার পথে পরিচালিত করে।

মির্জা ফখরুল দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও কল্যাণ কামনা করেন এবং শেষ নবী হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি সালাম জানান।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×