খালেদা জিয়া সুস্থ আছেন, তিনি নির্বাচন করবেন: আবদুল আউয়াল মিন্টু
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০২:৫৫ পিএম, ৩০ জুলাই ২০২৫

ফেনীতে যদি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে বিএনপি নিশ্চিতভাবে বিজয়ী হবে—এমনটাই মন্তব্য করেছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু। তিনি বলেন, “নির্বাচনে ফেনীর অতীত ইতিহাস সবাই জানে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ইনশাআল্লাহ এখানে বিএনপি জয়লাভ করবে। আমাদের দলের নেত্রীও (খালেদা জিয়া) নির্বাচন করবেন। তিনি এখন সুস্থ আছেন। নির্বাচন নিয়ে ফেনীতে কোন চিন্তা নেই।”
বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে ফেনী শহরের গ্র্যান্ড সুলতান কনভেনশন সেন্টারে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মিন্টু।
তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে লন্ডনে আলোচনা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিষয়ে একটি যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, “আমরা সেটিতে আস্থা রাখতে চাই যে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হবে। তবে দেশের বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় তার আগেও নির্বাচন হয়ে যেতে পারে। হয় তো জানুয়ারিতেও হয়ে যেতে পারে। কারণ সুপ্রিম কোর্টে কেয়ার টেকার সরকার নিয়ে একটি মামলা চলমান রয়েছে।”
মিন্টু বলেন, যদি কেয়ার টেকার সরকার পুনর্বহাল হয়, তাহলে সেই ব্যবস্থার আওতায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারই দায়িত্ব পালন করবে। সংবিধান অনুযায়ী কেয়ার টেকার সরকারের অধীনে ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
সরকারের জবাবদিহিতা না থাকলে রাষ্ট্রের কল্যাণ হয় না বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা। তার ভাষায়, “বিগত ১৯ বছর আমরা আন্দোলন-সংগ্রাম, অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে আসছি। কেউ যদি বলে আমরা হঠাৎ করে নির্বাচন চাচ্ছি বিষয়টি সঠিক নয়। বরং ২০০৬ সাল থেকে আমরা নির্বাচন চেয়ে আসছি। একটি দেশের সরকার যদি জনগণের কাছে দায়বদ্ধ না থাকেন তাহলে তারা কখনো ভালো কাজ করবে না। তাই আমরা চাচ্ছি নির্বাচনটি হোক।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা বলে আসছি ২০০৮ সালে যে নির্বাচন হয়েছে সেটি অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। ২০০৬ সাল থেকে দেশে কোন নির্বাচনকালীন সরকার নেই। দুই যুগ ধরে যদি নির্বাচিত সরকার না থাকেন তাহলে মানুষের অর্থনৈতিক বা জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন হবে না। নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত থাকে একটি সরকার, যারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকে।”