'দক্ষিণ এশিয়ার ইসরাইলে পরিণত হয়েছে ভারত' বলে মন্তব্য করেছেন সাদিক কায়েম
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৭:৩৩ পিএম, ২৬ জুলাই ২০২৫

তুরস্কভিত্তিক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ইয়েনি সাফাক-কে দেওয়া এক এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে জুলাই অভ্যুত্থানের অগ্রনায়ক সাদিক কায়েম বলেছেন, ভারত গত ১৬ বছর ধরে বাংলাদেশকে একপ্রকার উপনিবেশ হিসেবে ব্যবহার করেছে। তারা শুধু হাসিনার শাসন সমর্থনই করেনি, বরং ৫ আগস্টের গণহত্যাকেও নীরব সম্মতি দিয়েছে। তারা ভারতের মুসলমানদের উপর নিপীড়ন চালাচ্ছে—এই দিক থেকে তারা দক্ষিণ এশিয়ার ইসরাইলে পরিণত হয়েছে। আমরা তাদের আধিপত্য আর মানতে রাজি নই।
সাক্ষাৎকারটি ইয়েনি সাফাক শুক্রবার প্রকাশ করে।
ভারতের পাশাপাশি চীনকেও আলোচনায় আনেন কায়েম। চীনের সঙ্গে একটি “ভারসাম্যপূর্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ” সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রত্যাশার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এই সম্পর্ক হবে স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতির ভিত্তিতে।
সেনাবাহিনীর ভূমিকাসহ বিদেশি শক্তির প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কায়েম জানান, বিপ্লবের শেষ পর্যায়ে কিছু জুনিয়র সামরিক কর্মকর্তার কাছ থেকে তারা সহানুভূতির ইঙ্গিত পেয়েছেন। তার ভাষায়, তারা বিপ্লবের আদর্শের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। যদিও সিনিয়রদের অনেকেই আগের শাসনের সুবিধাভোগী ছিলেন, কিন্তু নতুন প্রজন্ম রাষ্ট্রের সঙ্গে জনগণের সেতুবন্ধন রচনায় আগ্রহী।
মানবাধিকার লঙ্ঘন, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গণহত্যায় জড়িতদের প্রতি কঠোর অবস্থানও স্পষ্ট করেন তিনি। কায়েম বলেন, আমরা স্পষ্ট করে দিতে চাই—যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গণহত্যায় জড়িত ছিলেন—তাদের রাজনীতিতে স্থান নেই যতক্ষণ না তারা বিচারের মুখোমুখি হন।
প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে তিনি ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, আওয়ামী লীগ একটি সন্ত্রাসী দল—জার্মানির চরমপন্থি সংগঠনের মতোই তাদের স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা উচিত।
বিদেশি শক্তির প্রতি নিরপেক্ষ অবস্থান জানান দিয়ে কায়েম বলেন, এই বিপ্লব কারও দয়া বা বিদেশি হস্তক্ষেপে আসেনি... এটি এসেছে আমাদের শহীদদের আত্মত্যাগে। তাই আমাদের কারো কাছে ঋণ নেই, আমরা স্বাধীনভাবে কূটনীতি চালিয়ে যাব—যুক্তরাষ্ট্র, চীন বা ভারত—সবার সঙ্গে সমানভাবে।