"বাংলাদেশে এমন কোনো নির্বাচনি এলাকা নেই, যেখানে এনসিপির কেউ জয়লাভ করবে": ইশরাক হোসেন
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১০:৩৮ পিএম, ২০ জুলাই ২০২৫

শহীদের আত্মত্যাগ নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে—এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। তাঁর ভাষায়, "জুলাই শহীদদের আত্মা আজ কষ্ট পাচ্ছে। কারণ, শহীদরা কেউ জানতো না তাদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে কারও মাঝে ক্ষমতার লোভ জাগবে।"
রোববার (২০ জুলাই) রাজধানীর নয়াবাজারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে সরকারের নীরবতা এবং সারাদেশে সহিংস ঘটনার প্রতিবাদে আয়োজিত মশাল মিছিলপূর্ব এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব মন্তব্য করেন তিনি। নয়াবাজার মোড় থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি ঘুরে যায় তাঁতীবাজার, গুলিস্তান, পল্টন হয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
ইশরাক হোসেন অভিযোগ করেন, এনসিপি নির্বাচনের নামে সময়ক্ষেপণ করছে। তাঁর বক্তব্য, “বাংলাদেশে এমন কোনো নির্বাচনি এলাকা নেই, যেখানে এনসিপির কেউ জয়লাভ করবে। তাই তারা পিআর পদ্ধতির নামে নির্বাচন পেছানোর চক্রান্ত করছেন।”
তিনি আরও বলেন, “প্রতিটি মানুষের বাকস্বাধীনতা আছে, তার মানে এই নয়—আরেকজনের স্বাধীনতা হরণ করবেন, সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করবেন।” কক্সবাজারে বিএনপিনেতা সালাউদ্দিন আহমেদের সম্পর্কে এনসিপি নেতা নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বক্তব্যের সমালোচনা করে ইশরাক বলেন, “নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী যে শিষ্টাচার বহির্ভূত কথা বলেছেন, তার জন্য তাকে ক্ষমা চাইতেই হবে। নতুবা চকরিয়ার মতো সারা দেশে জনগণ তাদের অবাঞ্ছিত করবে।”
তিনি অভিযোগ করেন, “আজকে দেশে কিছু হলেই এনসিপি-জামায়াত বিএনপির দিকে আঙুল তাক করেন। তারা ভালোমতোই জানে, দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে বিএনপি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবে।” তাঁর দাবি, “তাই একেক সময় একেক অযৌক্তিক দাবি জানিয়ে নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা করছেন।”
জুলাই আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির এই নেতা প্রশ্ন তোলেন, “জুলাই আন্দোলনে এনসিপি-জামায়াতের কতজন শহীদ হয়েছেন?” তাঁর মতে, এই আন্দোলন গোপনে তত্ত্বাবধান করছেন তারেক রহমান, যেখানে ছাত্রদল ও যুবদলের নেতারা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। “আজকে ক্ষমতার লোভে তারা বেমালুম ভুলে গেছে। শুধু তাই নয়, তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাতেও তাদের বিবেক একটুও কাঁপে না,” বলেন ইশরাক।
আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের হামলায় গোপালগঞ্জে বিএনপির তিন নেতাকর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় নীরবতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। প্রশ্ন রাখেন, “তখন কেন এত প্রতিবাদ হলো না? রাষ্ট্রযন্ত্র কেন নিশ্চুপ ছিল? এনসিপির সমাবেশকে ঘিরে যে পাঁচটি জীবন গেল তার দায়ভার কে নেবে?”
মুরাদনগরে সহিংসতা ও হত্যা নিয়ে ইশরাক অভিযোগ করেন, “মুরাদনগরে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া কী করছেন, তা সবাই অবগত। একের পর এক খুন হচ্ছে। হত্যা হলেই যাচাই-বাছাই না করেই বিএনপির ওপর দোষ চাপানো হয়। আর যখন দেখে এখানে নতুন একটি দলের সম্পৃক্ততা রয়েছে, তখন মিডিয়াও নিশ্চুপ হয়ে যায়।” তাঁর মতে, “মুরাদনগরে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর এখন যত নির্যাতন চলছে, তা আওয়ামী লীগ আমলেও হয়নি।”