সেন্টমার্টিন দখল ও নদী দূষণে জিরো টলারেন্স: রিজওয়ানা হাসান
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৮:২৮ পিএম, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, সেন্টমার্টিনের দখলকারীদের বিরুদ্ধে তারা জোরালো ব্যবস্থা নিয়েছেন। তিনি বলেন, “পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে নিয়মিত অভিযান চলছে। এর ফলে এখন সুপারমার্কেটে পলিথিন সহজলভ্য নয়।”
শনিবার বিকেলে গাজীপুরের কাপাসিয়ায় শীতলক্ষ্যা নদীর ধাঁধার চর পরিদর্শনকালে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
নদীর দূষণ নিয়ে রিজওয়ানা হাসান বলেন, “নদী দূষণকারীদের একে একে শনাক্ত করা, তাদের সেন্ট্রাল ইটিপির আওতায় আনা, কিংবা প্রয়োজনে কিছু প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা—সব বিকল্পই আমরা বিবেচনা করছি। চারজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে যতটা সম্ভব ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।”
ঢাকার আশপাশের নদীগুলো রক্ষায় বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে একটি প্রকল্প চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আশা করি, প্রকল্পটি ডিসেম্বরে অনুমোদিত হবে। এতে পরিবেশ অধিদপ্তরের জন্য আলাদা বরাদ্দ, জনবল ও যন্ত্রপাতি রাখা হয়েছে, যাতে তারা নজরদারি বাড়াতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “শুধু প্রশাসনের নজরদারিই যথেষ্ট নয়, শিল্পমালিকদেরও দায়িত্ব নিতে হবে। শিল্পদূষণ নয়, আমাদের এখনও পয়োবর্জ্য ও কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্পূর্ণরূপে গড়ে তুলতে হয়নি। এসব ব্যবস্থা একসঙ্গে কাজ করলে নদীগুলোকে বাঁচানো সম্ভব হবে।”
পরিবেশকর্মীদের সমর্থনের প্রসঙ্গে তিনি জানান, “পরিবেশবাদীরা আমাকে সহায়তা করছেন। আমার বর্তমান দায়িত্বের সুযোগে আমি তাদের সর্বাত্মক সহায়তা করে যাব। আমরা একে অপরের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করব।”
পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন সুইডেন দূতাবাসের জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ বিভাগের প্রধান নায়োকা মার্টিনেস বেক্সস্ট্রম, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক সোলায়মান হায়দার, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ মোবাশ্বেরুল ইসলাম, বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন, বাপার সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির এবং বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মনির হোসেন।