এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আমরণ অনশন কর্মসূচি ঘোষণা
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৮:১৬ পিএম, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

প্লেট ও বাটি হাতে ভুখা মিছিল শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফিরে গেছেন দেশের এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষকেরা। সরকার নির্ধারিত সামান্য ভাতা প্রত্যাখ্যান করে এবার তারা নামছেন আমরণ অনশনে।
সরকারি সুবিধা বাড়ানোর দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামীকাল সোমবার থেকে আমরণ অনশন শুরু করার ঘোষণা দিয়েছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থানরত এসব শিক্ষকরা দাবি তুলেছেন, তাদের বেতনের সঙ্গে ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া, ১৫০০ টাকা চিকিৎসাভাতা এবং কর্মচারীদের জন্য ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।
রোববার (১৯ অক্টোবর) হাইকোর্ট মাজার মোড়ে আয়োজিত এক সমাবেশে আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব দেলাওয়ার হোসাইন আজিজী এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ‘আগামীকাল থেকে আমরা আমরণ অনশনের কর্মসূচিতে যাচ্চি। এ ছাড়া ক্লাস, পরীক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।’
সরকার ইতোমধ্যে শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য ৫ শতাংশ হারে, সর্বনিম্ন ২ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু আন্দোলনকারী শিক্ষকরা এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং তাদের পূর্ণ ২০ শতাংশ ভাতার দাবিতে অনড় রয়েছেন।
এ বিষয়ে দেলাওয়ার হোসাইন আজিজী বলেন, ‘আজ ৫ শতাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্তকে আমরা একটি প্রাথমিক বিজয় বলে মনে করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যখন বাড়িভাড়া ২০ শতাংশ, ১৫০০ টাকা চিকিৎসাভাতা এবং কর্মচারীদের ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে, তখনই চূড়ান্ত বিজয় হবে। প্রজ্ঞাপন জারি না করলে আমরা এখান থেকে শ্রেণি কার্যক্রমে ফিরে যাব না।’
চলমান আন্দোলনের ধারাবাহিকতা তুলে ধরে আজিজী জানান, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারকে কেন্দ্র করেই তাদের কর্মসূচি এগিয়ে চলছে। ইতিমধ্যে শাহবাগ অবরোধ, টিএসসিতে বিক্ষোভ, অনশন, কালো পতাকা মিছিলসহ একাধিক কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আজকের ভুখা মিছিলেও শিক্ষকরা ব্যাপকভাবে অংশ নেন। তিনি বলেন, ‘গতকাল আমাদের দুজন শিক্ষক ও একজন শিক্ষিকা অসুস্থ হয়েছেন। আজ আরও অনেকে অসুস্থ হয়েছেন।’
শিক্ষকদের এই আন্দোলনে নতুন করে দাবি উঠেছে শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরারের পদত্যাগের। তবে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। এ প্রসঙ্গে আজিজী বলেন, ‘আমরা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে দাবি করিনি। তবে আমরা দেখছি। অবজার্ভ করছি। যেহেতু অর্থ উপদেষ্টা দেশের বাইরে আছে, তিনি ফিরে আসুন, তারপর যদি আমাদের অসহযোগিতা করা হয়, তাহলে হয়তো আমরা এক দফায় যাব।’