নোয়াখালীতে শিবির-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত ২০


নোয়াখালীতে শিবির-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত ২০

নোয়াখালীর সদর উপজেলার নেওয়াজপুর ইউনিয়নে কাশেমবাজার এলাকায় ছাত্রশিবির ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে রোববার বিকেলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে, যার ফলে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

স্থানীয়রা জানান, শনিবার বিকেলে কাশেমবাজার মসজিদে ইসলামী ছাত্রশিবিরের আয়োজনে একটি কোরআন শিক্ষা ক্লাস চলছিল। অভিযোগ রয়েছে, এ সময় ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতির নেতৃত্বে শিবিরের কার্যক্রমে বাধা দেওয়া হয় ও হামলা চালানো হয়। এর প্রতিবাদে পরদিন রোববার দুপুরে সুধারাম মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে শিবির। পরে বিকেলে একই মসজিদে ‘দারসুল কোরআন প্রতিযোগিতা’র আয়োজন করে তারা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাগরিবের নামাজের পর প্রতিযোগিতা শুরু হলে মসজিদের বাইরে বিএনপির নেতাকর্মীরা ‘জিয়া জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিতে থাকেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এই সহিংসতায় অন্তত ২০ জন আহত হন। সংঘর্ষের সময় মসজিদের ভেতরে অবস্থান নেয় শিবিরের কর্মীরা, আর বাইরে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের উপস্থিতি থাকলেও তাদের সংখ্যা ছিল কম বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য ও নোয়াখালী শহর শাখার সভাপতি হাবিবুর রহমান আরমান বলেন, “আমাদের শান্তিপূর্ণ কোরআন ক্লাসে বিএনপি হামলা করেছে। আমাদের ভাইয়েরা মসজিদে শুয়ে আছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নীরব ভূমিকা পালন করছে। হাসপাতালে নেওয়ার মতো অবস্থা নেই। বারবার মসজিদে হামলা হচ্ছে।”

অন্যদিকে নেওয়াজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন বাবুল বলেন, “নামাজ শেষে মসজিদ থেকে হামলা হয়েছে। যুবদলের সাবেক সভাপতি ফারুকের দুই ভাইসহ অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। মসজিদের ভেতর থেকে বারবার হামলা করা হচ্ছে।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুধারাম মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম বলেন, “আমরা ঘটনাস্থলে আছি। পুলিশ আসতে একটু সময় লেগেছে। বর্তমানে সেনাবাহিনী রয়েছে।”

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×