এলপিজি সিলিন্ডার ১ হাজার টাকার মধ্যে হওয়া উচিত: জ্বালানি উপদেষ্টা
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ১২:১৬ পিএম, ১১ অক্টোবর ২০২৫

দেশে চলমান জ্বালানি সংকটের প্রেক্ষাপটে এলপিজির দাম কমিয়ে আনার ওপর জোর দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফওজুল কবির খান। তাঁর মতে, এখন যেভাবে একটি এলপিজি সিলিন্ডার ১২০০ টাকা বা তার চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে, তা ব্যবহারকারীদের জন্য প্রতিকূল হয়ে উঠেছে। সঠিক দামে সরবরাহ নিশ্চিত করতে হলে এই মূল্য ১ হাজার টাকার মধ্যে নামিয়ে আনা জরুরি।
শনিবার, ১১ অক্টোবর, রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত একটি নীতিনির্ধারণী আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘বাংলাদেশে এলপিজি: অর্থনীতি, পরিবেশ ও নিরাপত্তা’ শীর্ষক এই পলিসি কনক্লেভের আয়োজন করে দৈনিক বণিক বার্তা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা ফওজুল কবির বলেন, “এলপিজির প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো দাম। বর্তমানে ১২০০ টাকা দামের সিলিন্ডার কিছু ক্ষেত্রে বাজারে ১৪০০-১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাই দামের নিয়ন্ত্রণ, লজিস্টিক উন্নয়ন এবং প্রাইভেট সেক্টরের কার্যকারিতা বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি। দায়িত্বশীল ব্যবসায়িক মনোভাব ছাড়া দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, দেশের প্রাথমিক জ্বালানির ঘাটতি কোনো আকস্মিক পরিস্থিতি নয় বরং এটি একটি পরিকল্পিত সংকট। তার ভাষায়, “এটি একটি পরিকল্পিত অবস্থার ফল, যা ক্ষমতাসীন কিছু রাজনীতিবিদ ও তাদের সহযোগী ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর কারণে তৈরি হয়েছে।” ফওজুল কাবির জানান, গ্যাস সরবরাহের প্রয়োজনীয়তা উপেক্ষা করে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও গ্যাস সঞ্চালন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যার ফলে শিল্প এবং গৃহস্থালি খাতে অবৈধ সংযোগের সংখ্যা বেড়েছে।
তিনি বলেন, দেশীয় গ্যাস উৎপাদন প্রতিবছরই কমছে। তাঁর ভাষায়, “প্রতিবছর প্রায় ২০০ মিলিয়ন কিউবিক ফুট উৎপাদন কমছে, কিন্তু আমরা মাত্র ৭০ মিলিয়ন কিউবিক ফুট নতুন গ্যাস সংগ্রহ করতে পেরেছি।” এ ঘাটতি পূরণে এলএনজি আমদানি করা হলেও, তার উচ্চমূল্য নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে সরকারকে।
তবে এলএনজি আমদানির দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বল্পমেয়াদি সমাধান হিসেবে এলপিজি হতে পারে কার্যকর একটি বিকল্প।
কনক্লেভে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে অংশ নেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ।