প্রতিটি মেয়ের স্বপ্নপূরণে রাষ্ট্রকে তাদের সঙ্গী করব: তারেক রহমান
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০২:৫২ পিএম, ১১ অক্টোবর ২০২৫

আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবসে নারীর স্বপ্ন ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে বিশেষ বার্তা দিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন কেবল রাজনৈতিক অঙ্গীকার নয়, এটি ব্যক্তিগত দায়িত্ব হিসেবেও বিবেচিত হওয়া উচিত।
তারেক রহমান বলেন, “একজন কন্যাসন্তানের পিতা হিসেবে আমি জানি, মেয়েদের ক্ষমতায়ন কেবল নীতির বিষয় নয়; এটা ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতা। আমরা এমন এক বাংলাদেশ চাই, যেখানে প্রতিটি মেয়ে স্বাধীনতা, সুযোগ ও নিরাপত্তা পাবে, যা প্রত্যেক পিতা-মাতা তাদের সন্তানের জন্য কামনা করে।”
তিনি দাবি করেন, বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকার অতীতে নারীদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে এবং ভবিষ্যতে সুযোগ পেলে সেই ধারা আরও জোরালোভাবে এগিয়ে নিতে চায়।
বিবৃতিতে তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আমলের নারীবান্ধব নীতির কথা স্মরণ করেন। তার নেতৃত্বে গার্মেন্টস শিল্প বিকাশের মাধ্যমে লক্ষাধিক নারী কর্মসংস্থানের সুযোগ পান। এ সময়েই নারীর উন্নয়নকে কাঠামোগত রূপ দিতে মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শাসনামলে নারীর শিক্ষাকে মৌলিক অধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠা দেওয়া হয়। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েদের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষা চালু করা হয় এবং ‘ফুড ফর এডুকেশন’ ও ‘ক্যাশ ফর এডুকেশন’ কর্মসূচির মাধ্যমে স্কুল থেকে ঝরে পড়া লাখো মেয়েকে পুনরায় পাঠাগারে ফিরিয়ে আনা হয়।
তারেক রহমান জানান, খালেদা জিয়ার ‘ফিমেল সেকেন্ডারি স্কুল অ্যাসিস্ট্যান্স প্রজেক্ট’ দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মাধ্যমিক শিক্ষায় মেয়েদের অংশগ্রহণে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনে। এই প্রকল্প শুধু শিক্ষায় লিঙ্গসমতা নিশ্চিত করেনি, বাল্যবিবাহ কমিয়ে একটি আন্তর্জাতিক মানের সফলতা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
তিনি বলেন, “এই সব উদ্যোগ প্রমাণ করেছে; যখন রাষ্ট্র মেয়েদের মর্যাদা রক্ষা ও ভবিষ্যতে বিনিয়োগ করে, তখন পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী হয়।”
বিএনপির ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনায় নারীর ক্ষমতায়নকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে -
১. পরিবারভিত্তিক সহায়তা ‘ফ্যামিলি কার্ড’ নারীদের নামে প্রদান, যাতে সহায়তা সরাসরি পরিবারপ্রধান নারীর হাতে পৌঁছে যায়।
২. নারী উদ্যোক্তাদের জন্য এসএমই ঋণ, ব্যবসায় প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তা।
৩. গ্রামীণ ও শহুরে মেয়েদের জন্য একাডেমিক ও কারিগরি শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি।
৪. নীতি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি।
৫. মেয়েদের চলাফেরা, মতপ্রকাশ ও ইন্টারনেট ব্যবহারে নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।
৬. পরিবার ও সামাজিক কল্যাণকে মূলনীতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা; স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান ও গ্রামীণ উন্নয়নে নারীর অগ্রাধিকার।
তারেক রহমান আরও বলেন, ‘আমরা ফাঁকা বুলি দিই না - আমরা বিশ্বাস থেকে কথা বলি, ঐতিহ্য ও প্রতিশ্রুতির শক্তিতে। প্রতিটি মেয়েদের স্বপ্নপূরণের পথে রাষ্ট্রকে তার সঙ্গী করব, প্রতিবন্ধক নয়।’