আজ বিশ্ব ডিম দিবস
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১২:৪৪ পিএম, ১০ অক্টোবর ২০২৫

আজ বিশ্ব ডিম দিবস। প্রতি বছর অক্টোবরের দ্বিতীয় শুক্রবার বিশ্বব্যাপী এই দিনটি পালিত হয় ইন্টারন্যাশনাল এগ কমিশন (আইইসি)–এর ঘোষণার ভিত্তিতে।
ডিমকে বলা হয় ‘পরিপূর্ণ খাদ্য’—কারণ এতে রয়েছে শরীরের জন্য অপরিহার্য সব পুষ্টি উপাদান। বিশ্বের মাত্র কয়েকটি খাবারই সুপার ফুড হিসেবে স্বীকৃত, আর তাদের অন্যতম হলো এই ছোট কিন্তু পুষ্টিগুণে ভরা ডিম। বর্তমানে বাংলাদেশে মাথাপিছু বছরে ডিমের প্রাপ্যতা ১৩৬টি।
ডিমের গুরুত্ব বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দিতে ১৯৬৪ সালে যুক্তরাজ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় ইন্টারন্যাশনাল এগ কমিশন (আইইসি)। প্রাণিজ আমিষের ঘাটতি পূরণ, স্বাস্থ্যসম্মত ও মেধাবী জাতি গঠন, এবং ডিমের উপকারিতা সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যেই সংস্থাটি ১৯৯৬ সালে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় প্রথমবারের মতো ‘বিশ্ব ডিম দিবস’ উদযাপন করে। এরপর থেকে প্রতিবছর অক্টোবরের দ্বিতীয় শুক্রবার দিনটি বিশ্বজুড়ে পালন করা হচ্ছে।
ডিমের উপকারিতা
ডিম সুস্বাদু, সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য একটি পুষ্টিকর খাবার, যাতে রয়েছে শরীরের জন্য অপরিহার্য ১৩টি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান। টেকসই প্রাণিজ প্রোটিনের উৎস হিসেবেও ডিমের অবস্থান শীর্ষে।
রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের নিয়মিত ডিম খাওয়া প্রয়োজন। কারণ ডিমে থাকা আয়রন শরীরে দ্রুত শোষিত হয়ে অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং রক্তাল্পতা প্রতিরোধে সাহায্য করে। পাশাপাশি এতে রয়েছে ভিটামিন এ, ডি, ই, কোলিন, ফোলিক অ্যাসিড ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান, যা শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যও ডিম গুরুত্বপূর্ণ। এটি হরমোন ভারসাম্য বজায় রাখা, এনজাইমের কার্যকারিতা ঠিক রাখা এবং দ্রুত শক্তি সরবরাহে সহায়তা করে। এছাড়া ডিমে থাকা টাইরোসিন ও ট্রিপটোফেন অ্যামাইনো অ্যাসিড হৃদরোগ প্রতিরোধে কার্যকর।
বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় আড়াই লাখ মানুষ হৃদরোগে মারা যান, যেখানে দেশের মোট মৃত্যুর ৩৪ শতাংশের কারণ হৃদযন্ত্র ও রক্তনালির সমস্যা। এ অবস্থায় ডিম হতে পারে সহজলভ্য স্বাস্থ্যরক্ষার খাদ্য।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্যান্সার রোগীদেরও প্রতিদিন ডিম খাওয়া উচিত, কারণ এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং কোষ পুনর্গঠনে সহায়তা করে। তবে ডিম অবশ্যই ভালোভাবে সিদ্ধ করে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
বর্তমানে দেশে বছরে ২ হাজার ৩৭৪ কোটি ৯৭ লাখ ডিম উৎপাদন হয়। প্রায় ১৭ কোটি জনসংখ্যার এ দেশে প্রতিদিন উৎপাদন হয় সাড়ে ৬ কোটি ডিম, যা দেশের পুষ্টি চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।