মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ নামে ব্যাংক করতে চান উপদেষ্টা ফরিদা আখতার
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৭:৩১ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
/VP.jpg)
খামারিদের সুবিধার জন্য কৃষি ব্যাংকের আদলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ ব্যাংক করতে চান বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
তিনি বলেন, এ ব্যাংক গঠিত হলে খামারিরা ঋণের সুবিধা গ্রহণ করে একদিকে যেমন তাদের আমদানিনির্ভরতা কমবে, অন্যদিকে প্রাণিসম্পদ খাতে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
মাংস ও ডিম আমদানি নিরুৎসাহিত করে উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ‘কোনো অবস্থাতেই আমরা মাংস-ডিম আমদানি করতে চাই না।
এ ধরনের আমদানির ফলে সংক্রামক রোগ জুনোটিক ডিজিজ দেশে প্রবেশের সম্ভাবনা থাকে।’
তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, এমনকি দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান গরুর মাংসের দাম সস্তা করানোর কথা বলে আমদানির জন্য অনুরোধ করে থাকেন। এভাবে আমদানি করলে দেশীয় খামার ধ্বংস হয়ে যাবে।
প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, অনেক সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মাংস ও ডিম আমদানি করতে চায়।
আমদানির ক্ষেত্রে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যেন পরামর্শ গ্রহণ করা হয় তা নিশ্চিত করতে দ্রুতই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হবে।
উপদেষ্টা বলেন, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারকে সহযোগিতা ও আহতদের পুনর্বাসনের জন্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন অধিদপ্তর করা হচ্ছে। এ অধিদপ্তরের মাধ্যমে নিহতের পরিবারকে ও আহতদের কিভাবে সহযোগিতা করা যায় তিনি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সে লক্ষ্যে কাজ করার আহ্বান জানান।
তিনি গবাদি পশুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) প্রতিরোধ এবং পিপিআর রোগ নির্মূলে ভ্যাকসিন প্রদানের এরিয়া বৃদ্ধির জন্য কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে এ সময় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালকবৃন্দ, বিভাগীয় পরিচালকবৃন্দ, ৬৪ জেলার জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।