পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দে অনিয়ম: হাসিনা ও পুতুলসহ ১৬জনের বিরুদ্ধে মামলা
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৭:৫৬ পিএম, ১২ জানুয়ারী ২০২৫

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচলে ১০ কাঠা করে মোট ৬০ কাঠার ৬টি প্লট বরাদ্দের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার (১২ জানুয়ারি) দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
মামলার সুপারিশে শেখ হাসিনাসহ মোট ১৬ জনকে আসামি করে দণ্ডবিধি, ১৮৬০’-এর ১৬১/১৬৩/১৬৪/৪০৯/১০৯ ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭’-এর ৫ (২) ধারায় এ মামলা করা হয়েছে।
অন্য আসামিরা হলেন, শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব পুরবী গোলদার, জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন, জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আল আসাদ, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সাবেক সদস্য (উন্নয়ন) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, উপপরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-৩) মো. হাফিজুর রহমান, উপপরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-৩) হাবিবুর রহমান, পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) শেখ শাহিনুল ইসলাম ও সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মো. নুরুল ইসলাম।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে বলা হয়, ‘ওই ব্যক্তিদের প্রভাবিত করে ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে আইনসম্মত পারিশ্রমিক না হওয়া সত্ত্বেও আইনমতে বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও পরস্পর যোগসাজশে নিজেরা লাভবান হয়ে ও অন্যকে লাভবান করার উদ্দেশ্যে বর্ণিত পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নম্বর রাস্তার প্লট নম্বর ০১৭ অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সায়মা ওয়াজেদের নামে বরাদ্দ নিয়ে এবং অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সায়মা ওয়াজেদ প্লটের বাস্তব দখলসহ রেজিস্ট্রিমূলে প্লট গ্রহণ করে, প্রতারণামূলক অবৈধ পারিতোষিক গ্রহণ ও প্রদান ও অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ এবং বেআইনি অনুগ্রহ প্রদর্শনের দ্বারা বর্ণিত আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে দণ্ডবিধি, ১৮৬০’-এর ১৬১/১৬৩/১৬৪/৪০৯/১০৯ ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭’-এর ৫ (২) ধারায় দণ্ডযোগ্য অপরাধ করেছেন।