মিষ্টি খেতে চান? খেজুরেই আছে স্বাস্থ্যকর সমাধান
- লাইফস্টাইল ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৯:১০ এম, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মিষ্টির লোভ সামলাতে গিয়ে যদি স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে না চান, তবে খেজুর হতে পারে চমৎকার বিকল্প। স্বাদে মিষ্টি হলেও এতে ক্যালোরি কম এবং রয়েছে অজস্র পুষ্টি উপাদান। নিয়মিত খেজুর খাওয়ার অভ্যাস শরীরকে রাখে সতেজ ও সুস্থ। এই ফলে পাওয়া যায় পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, ম্যাঙ্গানিজ, বি ভিটামিনসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান। এছাড়াও খেজুরে রয়েছে প্রাকৃতিক শর্করা ও উচ্চমাত্রার ফাইবার। চলুন জেনে নেই, খেজুর কীভাবে শরীরের জন্য উপকারী—
হজমে সহায়ক ফাইবার
৩.৫ আউন্স খেজুরে থাকে প্রায় ৭ গ্রাম ফাইবার। এটি হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ
ফ্ল্যাভোনয়েড, ক্যারোটিনয়েড ও ফেনোলিক অ্যাসিডের মতো শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট খেজুরে ভরপুর। এগুলো প্রদাহ কমায় এবং কোষকে ফ্রি র্যাডিকেলের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে, ফলে দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি হ্রাস পায়।
প্রসব সহজ করতে পারে
গবেষণায় দেখা গেছে, গর্ভাবস্থার শেষ দিকে খেজুর খাওয়ার ফলে প্রসব বেদনা কমে এবং সার্ভিক্স দ্রুত প্রসারিত হয়। ফলে সঠিক সময়ে স্বাভাবিক প্রসব সহজ হতে পারে।
চিনির বিকল্প প্রাকৃতিক মিষ্টি
পরিশোধিত চিনির বদলে খেজুর হতে পারে স্বাস্থ্যকর বিকল্প। এর প্রাকৃতিক মিষ্টি শুধু সুস্বাদুই নয়, বরং ফাইবার ও পুষ্টির বাড়তি সুবিধাও দেয়। তাই এটি স্মুদি, বেকিং কিংবা সিরাপ তৈরিতে ব্যবহার করা যায়।
মস্তিষ্কের সুরক্ষা দেয়
খেজুরে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড মস্তিষ্কের প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে। নিয়মিত খেলে এটি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে সুরক্ষা দেয় এবং আলঝেইমার বা অন্যান্য স্নায়বিক রোগের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে।
শক্তির প্রাকৃতিক উৎস
খেজুরে রয়েছে গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ ও সুক্রোজের মতো প্রাকৃতিক শর্করা, যা শরীরে দ্রুত ও স্থায়ী শক্তি জোগায়। বিশেষ করে ব্যায়ামের আগে নাস্তা হিসেবে খেলে এটি প্রক্রিয়াজাত চিনির নেতিবাচক প্রভাব ছাড়াই শক্তি বাড়ায়।
হাড়কে করে মজবুত
পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের মতো খনিজ উপাদান খেজুরকে হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষভাবে উপকারী করে তোলে। নিয়মিত খেলে হাড় মজবুত হয় এবং অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমে।
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
যদিও খেজুর মিষ্টি, এর গ্লাইসেমিক সূচক কম। ফলে এটি রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে তোলে না। ফাইবারের উপস্থিতি রক্তে চিনির শোষণ ধীর করে, যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।