কোরআন অবমাননা: অপূর্বের ‘দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তি’ দাবি শায়খ আহমাদুল্লাহর
- ইসলাম ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৭:৪৫ পিএম, ০৫ অক্টোবর ২০২৫

নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের কুরআন অবমাননার ঘটনায় দেশজুড়ে চলছে তীব্র প্রতিক্রিয়া। বিষয়টি নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রখ্যাত ইসলামি চিন্তাবিদ শায়খ আহমাদুল্লাহ। অভিযুক্ত অপূর্ব পালের বিরুদ্ধে দ্রুত এবং দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।
রোববার (৫ অক্টোবর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে কঠোর অবস্থান নেন শায়খ আহমাদুল্লাহ।
তিনি লেখেন, “নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যা ঘটেছে, তা পূর্বের সকল অপকর্মকে ছাড়িয়ে গেছে। নির্ভার চিত্তে ঠোঁটে শিস বাজাতে বাজাতে কুরআন পদপিষ্ট করার ভিডিওটি যারাই দেখেছেন, সবারই নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা। অপূর্ব পাল যা করেছে, এটা ধর্মীয় দাঙ্গা বাধানোর সুস্পষ্ট উস্কানি। আমরা অবিলম্বে তার দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। পাশাপাশি সরকারের প্রতি আমাদের দাবি; অবিলম্বে ধর্মঅবমাননা বিষয়ে কঠোর ও সুস্পষ্ট আইন তৈরি করে এর বাস্তব প্রয়োগ ঘটাতে হবে। নতুবা দেশের শান্তি, সম্প্রীতি ও স্থিতিশীলতা নষ্টকারী ন্যাক্কারজনক এই ঘটনা বারবার ঘটতেই থাকবে।”
পোস্টে তিনি আরও উল্লেখ করেন, অভিযুক্তকে মানসিকভাবে অসুস্থ বলে দায় এড়ানোর চেষ্টা অগ্রহণযোগ্য। তার ভাষায়, “কেউ কেউ অপূর্ব পালকে মানসিক রোগী হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছেন। পূর্বেও অনেক ইসলাম অবমাননাকারীকে মানসিক রোগী বলে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কথা হলো, একজন মানসিক রোগী কীভাবে দেশের নামকরা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে! তাছাড়া মানসিক রোগীরা কেন বারবার ইসলাম ধর্মের ওপরই আক্রমণ করে!”
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন আহমাদুল্লাহ। তিনি মনে করেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই ঘটনার দায় এড়াতে পারে না। তিনি বলেন, “মনে রাখতে হবে, ক্লাসে হাদিসের উদাহরণ আনায় উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে ইতোপূর্বে বহিষ্কার করা হয়েছে। অথচ কুরআন অবমাননার ঘটনা ভাইরাল হওয়ার আগ পর্যন্ত তারা অপূর্ব পালের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তাই বিশ্ববিদ্যালয়-প্রশাসনও এই ঘটনার দায় এড়াতে পারে না। এমন কুলাঙ্গার ছাত্রকে প্রশ্রয় দেওয়ার অপরাধে তাদেরকে ক্ষমা চাইতে হবে। এদেশের অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামবিরোধী এজেন্ডা নিয়ে কাজ করছে। ধর্মপ্রাণ মানুষের দেশে এটা কোনোভাবেই হতে দেয়া যায় না।”