ভেনেজুয়েলায় হামলার কোনো পরিকল্পনা নেই: ট্রাম্প
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১১:১৩ এম, ০১ নভেম্বর ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পষ্ট করেছেন যে ভেনেজুয়েলায় কোনো সামরিক হামলার পরিকল্পনা করা হয়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি দেশটির আশপাশে হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় কারাকাসের সরকার পরিবর্তনের চেষ্টা হবে কি না তা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় সাগরে নৌবাহিনীর আটটি জাহাজ মোতায়েন করেছে। এছাড়া পুয়ের্তো রিকোতে পাঠানো হয়েছে রাডার ফাঁকি দিতে সক্ষম এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, এবং এই অঞ্চলের দিকে প্রেরণ করা হয়েছে বিমানবাহী রণতরীর একটি স্ট্রাইক গ্রুপ। ওয়াশিংটনের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, এই সামরিক শক্তির মোতায়েনের উদ্দেশ্য সরকার পরিবর্তন নয়, বরং মাদক চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ করা।
শুক্রবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে বহনকারী এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সংক্ষেপে তিনি বলেন, ‘না।’ প্রশ্নটি ছিল, তিনি কি ভেনেজুয়েলায় হামলার কথা ভাবছেন কি না। ট্রাম্পের এই বক্তব্যের সঙ্গে একরূপ সুর রেখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।
মায়ামি হেরাল্ডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়াশিংটনের বাহিনী ভেনেজুয়েলাকে লক্ষ্য করে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ বিষয়ে রুবিও এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, ‘আপনার তথাকথিত “সূত্র” আপনাকে ভুয়া খবর লিখতে বাধ্য করেছে।’
গত সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় অঞ্চল ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে মাদক চোরাচালানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নৌযানকে লক্ষ্য করে হামলা অভিযান চালায়। এই অভিযানে অন্তত ৬২ জন নিহত হয়েছেন, ১৪টি নৌযান এবং একটি আধা-ডুবোজাহাজ ধ্বংস হয়েছে।
ওয়াশিংটনের দাবি, এসব ছোট নৌযান জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি এবং মাদক চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অভিযানের ধরন বিচারবহির্ভূত হত্যার সমতুল্য, এমনকি লক্ষ্যবস্তু যদি সত্যিই মাদক পাচারকারী হয়।
অপরদিকে, যুক্তরাষ্ট্র অঞ্চলটিতে সামরিক শক্তি প্রদর্শনের অংশ হিসেবে বি-৫২ ও বি-১বি মডেলের বোমারু বিমান ভেনেজুয়েলার উপকূলের কাছে চক্কর দিয়েছে। সর্বশেষ সোমবার এসব বিমানকে আকাশে দেখা গেছে।
এই পরিস্থিতিতে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো অভিযোগ করেছেন, ওয়াশিংটন তাঁর সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করছে এবং ‘কৃত্রিম যুদ্ধ পরিস্থিতি’ তৈরি করছে।