‘বৃহত্তর সিলেটবাসী’ ব্যানারে ঢাকায় ট্রেন আটকে বিক্ষোভ
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০২:১৫ পিএম, ০১ নভেম্বর ২০২৫
ঢাকার মগবাজার রেলগেট এলাকায় আট দফা দাবিতে রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ঢাকাস্থ ‘বৃহত্তর সিলেটবাসী’। অনুমোদিত টাঙ্গুয়ার এক্সপ্রেস চালুর দাবিসহ রেল সংস্কার সংক্রান্ত নানা ইস্যুতে শনিবার (১ নভেম্বর) এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১২টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা অগ্নীবীণা এক্সপ্রেস ট্রেনটি আন্দোলনকারীরা প্রায় ১০ মিনিটের জন্য থামিয়ে রাখেন। পরে রেল মন্ত্রণালয় তাদের দাবিগুলো বিবেচনার আশ্বাস দিলে ট্রেন চলাচল পুনরায় স্বাভাবিক হয়।
বিক্ষোভকারীদের পক্ষ থেকে সেলিম আহমেদ বলেন, “আমরা আজকের কর্মসূচি শেষ করেছি। মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে, দাবিগুলো দ্রুত বিবেচনা করা হবে।”
তিনি আরও জানান, “আজ সিলেট বিভাগজুড়ে চলমান রেলপথ অবরোধ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা ঢাকায় প্রতীকীভাবে ট্রেন আটকে রেখেছিলাম। তবে দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়িত না হলে আগামী ১৮ নভেম্বর রেল মন্ত্রণালয় ঘেরাও করা হবে।”
ঢাকাস্থ বৃহত্তর সিলেটবাসী সংগঠনটি যে আট দফা দাবি জানিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে: ঢাকা-সিলেট রুটে অনুমোদিত টাঙ্গুয়ার এক্সপ্রেস দ্রুত চালু করা, সিলেট-ঢাকা রুটে আরও দুটি ও সিলেট-কক্সবাজার রুটে একটি বিশেষ ট্রেন চালু করা, আখাউড়া-সিলেট রেলপথ সংস্কার ও ডাবল লাইন স্থাপন, ওই সেকশনে অন্তত দুটি লোকাল ট্রেন চালু, বন্ধ সব স্টেশন পুনরায় চালু, সিলেটের সব স্টেশনে আসনসংখ্যা বৃদ্ধি, সিলেট-ঢাকাগামী কালনী ও পারাবত এক্সপ্রেসে আযমপুরের পর ঢাকামুখী স্টেশনগুলোর যাত্রাবিরতি বাতিল, এবং ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় ঠেকাতে ত্রুটিমুক্ত ইঞ্জিন ব্যবহার ও যাত্রীসংখ্যা অনুযায়ী অতিরিক্ত বগি সংযোজন।
অবরোধ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহসভাপতি আকবর হোসেন মঞ্জু, হবিগঞ্জ সমিতি ঢাকার সভাপতি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান তরফদার, পল্টন থানা জামায়াতের শাহিন আহমেদ খান, সিলেট বিভাগ সাংবাদিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম আহমেদ, জগন্নাথপুর সমিতির যুগ্ম সম্পাদক সায়েদুজ্জামান কামালী, সংগঠক আবু বকর সিদ্দিক, সুজন মিয়া, সাংবাদিক এমদাদুল হক ও জামিল আহমদ এবং ছাত্রনেতা তোফায়েল আহমেদ।