প্রাথমিক শিক্ষকদের ৪ দিনের কর্মসূচির ঘোষণা


প্রাথমিক শিক্ষকদের ৪ দিনের কর্মসূচির ঘোষণা

দাবি আদায়ে আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে সিদ্ধান্ত না এলে দেশজুড়ে কর্মবিরতি ও পরবর্তী কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ‘ঐক্য পরিষদ’। তারা জানায়, সহকারী শিক্ষকদের প্রবেশ পদে ১১তম গ্রেড বাস্তবায়ন, উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার জটিলতা দূরীকরণ এবং শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি নিশ্চিত না হলে চার দিনের কর্মসূচি পালন করা হবে।

শনিবার (১ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি শাহিনুর আল আমীন এবং কর্মসূচি ঘোষণা করেন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমাজের সভাপতি আনিসুর রহমান।

লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, দেশের গ্রামীণ পর্যায়ে প্রায় ৩ লাখ ৮০ হাজার সহকারী শিক্ষক নিষ্ঠার সঙ্গে শিক্ষাদান করছেন, কিন্তু তাদের মর্যাদা ও আর্থিক অবস্থার উন্নতি দীর্ঘদিন ধরেই উপেক্ষিত। বর্তমানে একজন সহকারী শিক্ষক ১৩তম গ্রেডে যোগ দিয়ে মাত্র ১৭ হাজার ৬৫০ টাকা বেতন পান, যা বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে অপ্রতুল।

বক্তব্যে বলা হয়, “আমাদের অন্যতম প্রধান দাবি সহকারী শিক্ষক এন্ট্রি পদে ১১তম গ্রেডে ১২ হাজার ৫০০ টাকা স্কেলে সর্বসাকূল্যে বেতন হবে ১৯ হাজার ৮২৫ টাকা। সরকারের আর্থিক সক্ষমতা বিবেচনায় রেখেই আমরা এই সামান্য দাবিটি করছি যেখানে সরকারকে অতিরিক্ত মাত্র ২ হাজার ২৬৫ টাকা প্রদান করতে হবে।”

শিক্ষকরা অভিযোগ করেন, একই শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অন্যান্য সরকারি দপ্তরে কর্মকর্তারা ১০ বা ১১তম গ্রেডে যোগদান করেন, কিন্তু প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকরা বহু বছর ধরে ১৩তম গ্রেডে সীমাবদ্ধ রয়েছেন। এটি ‘অমানবিক ও বৈষম্যমূলক’ বলে দাবি করেন তারা। পাশাপাশি ২০০৯ সাল থেকে পদোন্নতি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় অনেক শিক্ষক জীবনভর সহকারী শিক্ষক হিসেবেই অবসর নিচ্ছেন বলে উল্লেখ করা হয়।

ঐক্য পরিষদের অধীন ১১টি সংগঠন জানায়, তাদের তিনটি প্রধান দাবি হলো - সহকারী শিক্ষকদের প্রবেশ পদে ১১তম গ্রেড প্রদান, ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেডের জটিলতা দূর করা এবং শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি কার্যকর করা।

দাবিগুলো ১৫ নভেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়িত না হলে ২৩ ও ২৪ নভেম্বর অর্ধদিবস কর্মবিরতি, ২৫ ও ২৬ নভেম্বর পূর্ণদিবস কর্মবিরতি এবং ২৭ নভেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।

তাছাড়া দাবি আদায় না হলে বৃত্তিসহ সব পরীক্ষা বর্জন এবং আগামী ১১ ডিসেম্বর থেকে আমরণ অনশন শুরু করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকরা।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×