দুর্বল শাসন ব্যবস্থাই বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের কারণ: অজিত দোভাল
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১১:০০ এম, ০১ নভেম্বর ২০২৫
অকার্যকর শাসনব্যবস্থা অনেক সময় একটি দেশের রাজনৈতিক স্থিতি নষ্ট করে দেয়; এমন মন্তব্য করেছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) অজিত দোভাল। তাঁর মতে, বাংলাদেশ, নেপাল ও শ্রীলঙ্কাসহ দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে অনানুষ্ঠানিকভাবে সরকার পরিবর্তনের পেছনে দুর্বল প্রশাসনিক কাঠামো বড় ভূমিকা রেখেছে।
শনিবার (১ নভেম্বর) এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় ঐক্য দিবস উপলক্ষে গত ৩১ অক্টোবর দেওয়া ভাষণে দোভাল কার্যকর শাসনের গুরুত্ব নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেন। তিনি বলেন, শক্তিশালী প্রশাসন কেবল রাষ্ট্রের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করে না, বরং সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা পূরণেও মুখ্য ভূমিকা রাখে।
দোভাল বলেন, ‘আজকের প্রশাসনের বড় চ্যালেঞ্জ হলো সাধারণ মানুষকে সন্তুষ্ট রাখা। সাধারণ মানুষ আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন, উচ্চাকাঙ্ক্ষী এবং রাষ্ট্রের কাছ থেকে আরও বেশি প্রত্যাশা রাখে। তাই রাষ্ট্রেরও তার সন্তুষ্টির প্রতি খেয়াল রাখতে হবে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘একটি জাতির শক্তি নিহিত থাকে তার শাসন ব্যবস্থায়। সরকার যখন প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে কাজ করে, তখন জাতি গঠনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন সেই ব্যক্তিরা, যারা এসব প্রতিষ্ঠান তৈরি ও লালন করেন।’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শাসন মডেলকে প্রশংসা করে দোভাল বলেন, ‘ভারত এখন এক নতুন কক্ষপথে প্রবেশ করছে; নতুন ধরনের শাসনব্যবস্থা, সমাজ কাঠামো এবং বৈশ্বিক অবস্থানে। বর্তমান সরকার প্রশাসনিক দুর্নীতি দমনে যে প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তন এনেছে, তা গভীর প্রভাব ফেলছে। সামনে আরও পদক্ষেপ আসতে পারে।’
নারীর সুরক্ষা, সমতা ও ক্ষমতায়নকেও তিনি উন্নত শাসনের অপরিহার্য উপাদান হিসেবে দেখেন। দোভালের ভাষায়, ‘নারীর ক্ষমতায়ন আধুনিক শাসনব্যবস্থার অপরিহার্য অংশ। শুধু ভালো আইন বা কাঠামো থাকলেই হবে না, এগুলো কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করাই সবচেয়ে জরুরি।’
প্রযুক্তির সঠিক প্রয়োগ নিয়েও গুরুত্বারোপ করেন দোভাল। তিনি বলেন, ‘আমাদের এমন প্রযুক্তি কাজে লাগাতে হবে যা শাসনে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও জনসেবার দক্ষতা বাড়ায়। তবে একইসঙ্গে সাইবার হামলার মতো প্রযুক্তিনির্ভর হুমকি থেকেও সমাজকে রক্ষা করতে হবে।’