গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতির থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েলের ‘সুনির্দিষ্ট’ হামলা
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৩:৩৮ পিএম, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
গাজার মধ্যাঞ্চলে কার্যকর যুদ্ধবিরতির মধ্যে আবারও নতুন ইসরায়েলি হামলার ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফের প্রেস সার্ভিস জানায়, নুসেইরাত এলাকায় ইসলামিক জিহাদের একজন সদস্যকে লক্ষ্য করে ‘সুনির্দিষ্ট ও সীমিত আকারের’ অভিযান চালানো হয়েছে। আইডিএফ দাবি করেছে, ওই ব্যক্তি ইসরায়েলি সেনাদের ওপর সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করছিলেন।
সামরিক বিবৃতিতে আরও বলা হয়, "আইডিএফ ইউনিটগুলো যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় মোতায়েন ছিল এবং যে কোনো প্রত্যক্ষ হুমকি প্রতিহত করাই ছিল তাদের লক্ষ্য। হুমকি থাকলে সেনাবাহিনী আগাম ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।"
গাজায় সংকট প্রশমনে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ২৯ সেপ্টেম্বর হোয়াইট হাউস একটি ২০ দফা ‘ব্যাপক শান্তি পরিকল্পনা’ ঘোষণা করে। এই পরিকল্পনায় আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী মোতায়েন এবং অস্থায়ী প্রশাসনিক কাঠামো গঠনের প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত ছিল।
এরপর ৯ অক্টোবর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, মিশরে আলোচনার মাধ্যমে হামাস ও ইসরায়েল প্রথম ধাপে সমঝোতায় পৌঁছেছে এবং ১০ অক্টোবর থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। তবে যুদ্ধবিরতির পরও উত্তেজনা শিথিল হয়নি।
১৯ অক্টোবর রাফাহ সীমান্তে ইসরায়েলি সেনাদের ওপর গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটে, যা আইডিএফ যুদ্ধবিরতির প্রথম বড় লঙ্ঘন হিসেবে দাবি করে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরাসরি হামাসকে দায়ী করে সেনাবাহিনীকে ‘দ্রুত ও দৃশ্যমান প্রতিক্রিয়া’ জানানোর নির্দেশ দেন।
এই ঘটনার পর আইডিএফ গাজা জুড়ে বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে পাল্টা হামলা চালায়। তাদের তথ্য অনুযায়ী দুই সেনা নিহত হয়েছেন এবং আরও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তবে হামাস রাফাহের ঘটনার সঙ্গে নিজেদের কোনো সম্পৃক্ততা স্বীকার করেনি এবং এটিকে ইসরায়েলের ‘অজুহাত তৈরি’ বলে বর্ণনা করেছে।
পরবর্তীতে আইডিএফ ঘোষণা করে, সীমিত সামরিক অভিযান শেষ হওয়ার পর তারা আবারও যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণে ফিরে এসেছে। কিন্তু নুসেইরাত এলাকায় সর্বশেষ হামলার পর প্রশ্ন উঠেছে; চুক্তি বাস্তবায়ন কতটা কার্যকর হচ্ছে এবং শান্তি প্রক্রিয়া কতদূর টিকে থাকবে।
সূত্র: রাশিয়ান সংবাদ সংস্থা তাস