বিমান মাইলস্টোনে না পড়ে সচিবালয়ে পড়া উচিত ছিল: হাসনাত আব্দুল্লাহ
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৫:৪৭ পিএম, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে ‘স্বৈরতন্ত্র ও গুন্ডামির আস্তানা’ আখ্যা দিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, “বিমানটি যদি মাইলস্টোন স্কুলে না পড়ে সচিবালয়ে পড়ত, তাহলে দুর্নীতির মূল জায়গাটাতেই আঘাত লাগত।”
রোববার (২৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনে (বিপিএসসি) অনুষ্ঠিত বিসিএস পরীক্ষার অগ্রগতি বিষয়ক আলোচনার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “সচিবালয় এখন সবচেয়ে বড় স্বৈরতন্ত্র ও গুন্ডামির আস্তানা হয়ে উঠেছে, যেখানে সাধারণ মানুষকে আর মানুষ হিসেবেই দেখা হয় না। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এই অনিয়ম ও দৌরাত্ম্য বন্ধ না হলে চাকরিপ্রার্থীরা লাল ফিতার জটিলতা ও প্রভাবের শৃঙ্খল থেকে কখনোই মুক্তি পাবে না। এটি আমাদের জন্য সত্যিই দুর্ভাগ্য।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থান শুরু হয়েছিল বিসিএসের বৈষম্য রোধের দাবিতে, কিন্তু আজও পিএসসির কার্যক্রমে সমন্বয়হীনতা রয়ে গেছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এখনো ভাগ-বাটোয়ারা ও পোস্টিং নিয়েই ব্যস্ত।”
হাসনাত বলেন, “জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে এখনই সংস্কার করা জরুরি। তাদের অগ্রাধিকার তালিকায় চাকরিপ্রার্থীরা নেই। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে পারছেন না। এই অদক্ষতা ও উদাসীনতার ফলেই নতুন প্রজন্মের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।”
তিনি আরও বলেন, “অভ্যুত্থানের পর সবচেয়ে বেশি সুবিধা নিয়েছে আমলারা। তারা নিজেদের পদোন্নতি নিশ্চিত করেছে, কিন্তু সাধারণ চাকরিপ্রার্থীদের দুর্ভোগ এখনো কমেনি।”
বিসিএস প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন প্রসঙ্গে এনসিপি এই নেতা বলেন, “পিএসসি আন্তরিকভাবে সংস্কারের চেষ্টা করছে। এক বছরের মধ্যে বিসিএস শেষ করার সুপারিশও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু চাকরি বিধি সংশোধনের এখতিয়ার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের হাতে। তারা যদি এই অনিয়ম বন্ধ করতে না পারে, তাহলে চাকরিপ্রার্থীরা কখনোই লাল ফিতার দৌরাত্ম্য থেকে মুক্তি পাবে না।”
রাজনৈতিক বিবেচনায় ভাইভা নেওয়ার সমালোচনা করে হাসনাত বলেন, “যোগ্যতার ভিত্তিতে মূল্যায়ন না হলে বিসিএস কখনোই স্বচ্ছ ও ন্যায়সংগত হবে না।”