যুক্তরাষ্ট্রের চাপে কখনো মাথা নত করবে না রাশিয়া: পুতিন
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১২:১৬ পিএম, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দৃঢ়ভাবে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের চাপ বা নিষেধাজ্ঞার মুখে কখনোই রাশিয়া মাথা নত করবে না। যদিও তিনি স্বীকার করেছেন, ওয়াশিংটনের সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞাগুলো রুশ অর্থনীতিতে কিছুটা প্রভাব ফেলতে পারে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার দুই প্রধান তেল কোম্পানি রোসনেফট ও লুকোইল এবং তাদের সঙ্গে সম্পর্কিত প্রায় তিন ডজন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে। ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে মস্কোর ওপর চাপ সৃষ্টির কৌশল হিসেবেই ট্রাম্প প্রশাসন এই পদক্ষেপ নেয়। একইসঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নও ধীরে ধীরে রাশিয়ার তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানিতে সীমাবদ্ধতা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রোসনেফট ও লুকোইল রাশিয়ার মোট অপরিশোধিত তেল রপ্তানির প্রায় অর্ধেক সরবরাহ করে থাকে। যুক্তরাজ্যও সম্প্রতি এই দুটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে একই ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফেরার পর এটি মস্কোর বিরুদ্ধে প্রথম বড় নিষেধাজ্ঞা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
হোয়াইট হাউসের ধারণা, নতুন এই নিষেধাজ্ঞার ফলে বৈশ্বিক তেলের দাম প্রায় ৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে, যা পুতিনকে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনায় ফিরতে বাধ্য করবে।
তবে বৃহস্পতিবার পুতিন এক বক্তব্যে এই নিষেধাজ্ঞাগুলোকে “অমৈত্রীসুলভ ও ব্যর্থ চাপ প্রয়োগের চেষ্টা” বলে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, “কোনো আত্মমর্যাদাসম্পন্ন দেশ কখনো চাপের মুখে নতি স্বীকার করে না।”
পুতিন সতর্ক করে বলেন, এসব নিষেধাজ্ঞা তেলের দাম আরও বাড়িয়ে তুলবে এবং শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রকেই এর মূল্য দিতে হবে। তিনি আরও জানান, যদি ওয়াশিংটন ইউক্রেনকে টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করে এবং তা রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হয়, তবে মস্কো “খুবই শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া” দেখাবে।
নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় কোনো বিদেশি প্রতিষ্ঠান রাশিয়ার বড় তেল কোম্পানিগুলোর সঙ্গে ব্যবসা করতে পারবে না, ফলে দেশটি কার্যত বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থার বাইরে চলে যাচ্ছে। এরই মধ্যে চীন ও ভারতের কয়েকটি তেল কোম্পানি রুশ তেল কেনা সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে।