কাতারে ইসরায়েলি হামলা নিয়ে ট্রাম্প-নেতানিয়াহুর উত্তপ্ত ফোনালাপ
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৯:৫৭ এম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কাতারে হামাস নেতাদের ওপর ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর মধ্যে উত্তপ্ত কথোপকথন হয়েছে। একই ঘটনায় কাতার আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে আঞ্চলিক প্রতিক্রিয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) আনাদোলু বার্তাসংস্থা এই তথ্য জানায়, মার্কিন গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে।
দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প নেতানিয়াহুকে তার “তীব্র হতাশা” জানিয়েছেন এবং দোহায় হামাসের রাজনৈতিক নেতাদের লক্ষ্য করে হামলা চালানোকে “অবিবেচনাপ্রসূত পদক্ষেপ” আখ্যা দিয়েছেন। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “মার্কিন সামরিক বাহিনী থেকে তিনি হামলার খবর পান, অথচ ইসরায়েল আগে কিছু জানায়নি,” যা একটি মিত্র দেশের ভূখণ্ডে সংঘটিত হয়, যারা গাজায় যুদ্ধ শেষ করতে মধ্যস্থতা করছে।
নেতানিয়াহু উত্তরে বলেন, হামলার সময়সীমা খুবই সীমিত ছিল, তাই তিনি তা কাজে লাগিয়েছেন।
এরপর তাদের মধ্যে আরেকটি ফোনালাপ হয়, যা তুলনামূলকভাবে সৌহার্দ্যপূর্ণ ছিল। ট্রাম্প জানতে চান হামলা সফল হয়েছে কি না, তবে নেতানিয়াহু নিশ্চিতভাবে বলতে পারেননি। পরে হামাস জানায়, তাদের শীর্ষ নেতৃত্ব হামলা থেকে বেঁচে গিয়েছে, যদিও পাঁচ সদস্য ও একজন কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানায়, ট্রাম্প, যিনি ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ সমর্থক, নেতানিয়াহুর একতরফা এবং যুক্তরাষ্ট্রকে না জানিয়ে নেওয়া আগ্রাসী পদক্ষেপে বিরক্ত হয়ে পড়ছেন, যা তার মধ্যপ্রাচ্য সংক্রান্ত নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, তারা “হামাসের শীর্ষ নেতৃত্বকে লক্ষ্য করে সুনির্দিষ্ট হামলা” চালিয়েছে।
কাতার এই হামলাকে “কাপুরুষোচিত কাজ” এবং আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হিসেবে নিন্দা জানিয়েছে। তারা সতর্ক করে বলেছে, ইসরায়েলের “বেপরোয়া আচরণ” আর সহ্য করা হবে না।
কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিসর গাজা যুদ্ধ শেষ করার জন্য একসঙ্গে মধ্যস্থতা করে আসছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে ৬৪ হাজার ৬০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান আল-থানি বুধবার সিএনএনকে বলেন, দোহায় ইসরায়েলি হামলার জবাবে আঞ্চলিক প্রতিক্রিয়া তৈরি হচ্ছে এবং এ নিয়ে আরব ও ইসলামী দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে। তিনি জানান, “এই অঞ্চল থেকে অবশ্যই প্রতিক্রিয়া আসবে। এটি বর্তমানে আমাদের মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে পরামর্শ ও আলোচনার পর্যায়ে আছে।”