গাজায় ২৩৩ ইমামকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৫:১৮ পিএম, ২৮ আগস্ট ২০২৫

গাজায় ইসরায়েলের টানা হামলায় প্রতিদিন বাড়ছে প্রাণহানি ও ধ্বংসযজ্ঞ। শুধু বেসামরিক অবকাঠামো নয়, পরিকল্পিতভাবে টার্গেট করা হচ্ছে মসজিদ, গির্জা, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ ও ইসলাম প্রচারকদের। এতে অনেক মহল্লা উপাসনালয়হীন হয়ে পড়েছে।
গাজার মিডিয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামলা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত দখলদার বাহিনীর হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৩৩ জন ইমাম ও ইসলাম ধর্মের প্রচারক। ধ্বংস হয়েছে ৮২৮টি মসজিদ, আরও ১৬৭টি মসজিদ গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি বোমা হামলায় ধ্বংস হয়েছে তিনটি চার্চ এবং নিহত হয়েছেন অন্তত ২১ জন ফিলিস্তিনি খ্রিস্টান।
মিডিয়া অফিসের প্রধান ইসমাইল আল থাওয়াবতেহ তুরস্কের সংবাদ সংস্থা আনাদোলুকে বলেন, “মসজিদ, গির্জা, ইমাম ও ধর্মীয় নেতাদের ওপর যে হামলা চালানো হচ্ছে, তা উদ্দেশ্যমূলক। এর মাধ্যমে ধর্মীয় কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ এবং প্রতিরোধের মূল ভিত্তিকে ধ্বংস করার চেষ্টা চলছে।”
তিনি আরও জানান, ইমাম ও আলেমরা সমাজে ঈমান জাগ্রত রাখা, জাতীয় পরিচয় সুদৃঢ় করা এবং সামাজিক সংহতি রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাদের হত্যার মাধ্যমে জনগণের মনোবল দুর্বল করা হচ্ছে এবং ইসরায়েলের অপরাধের বিরুদ্ধে উচ্চারিত কণ্ঠস্বর নিস্তব্ধ করা হচ্ছে।
ধর্মীয় স্থাপনা ধ্বংসের মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও সামাজিক স্মৃতির সঙ্গে সম্পর্কও ছিন্ন করা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। শতাব্দী প্রাচীন এসব উপাসনালয় মুছে ফেলার প্রচেষ্টা ফিলিস্তিনিদের অস্তিত্বের জন্য ভয়াবহ হুমকি।
রোম স্ট্যাটিউট অনুসারে, উপাসনালয়ে ইচ্ছাকৃত হামলা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের গুরুতর লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য হয়।
সূত্র : টিআরটি ওয়ার্ল্ড