ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে রুশ বাহিনীর প্রবেশ
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০১:০১ এম, ২৮ আগস্ট ২০২৫

রাশিয়ার সেনারা ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের কৌশলগত শিল্প এলাকা নিপ্রোপেত্রোভস্কে প্রবেশ করেছে বলে দাবি করেছে কিয়েভ। সেখানে শক্ত ঘাঁটি গড়ে তোলার চেষ্টা করছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনের ওই অঞ্চলে সক্রিয় সামরিক কর্মকর্তা ভিক্টর ট্রেহুবভ বিবিসিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক তৎপরতার মধ্যেই অঞ্চলটি দখলে নেয় মস্কো।
রাশিয়া গত কয়েক মাস ধরে নিপ্রোপেত্রোভস্কের আংশিক নিয়ন্ত্রণে থাকার দাবি করলেও ইউক্রেন এতদিন তা অস্বীকার করে আসছিল। ব্রিটিশ গণমাধ্যম জানায়, এই প্রবেশাধিকার ইউক্রেনীয় সেনাদের মনোবলে বড় ধাক্কা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
বুধবার ইউক্রেনজুড়ে রুশ হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। এর প্রভাবে এক লাখেরও বেশি পরিবার বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে। এএফপি ইউক্রেনের জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, রুশ সেনারা ছয়টি অঞ্চলের বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ অবকাঠামোকে লক্ষ্য করে আক্রমণ চালায়। শীত মৌসুমের আগমুহূর্তে এসব হামলা ছিল বেসামরিক অবকাঠামো ধ্বংসের উদ্দেশ্যমূলক পদক্ষেপ, যাতে সাধারণ মানুষের উষ্ণতার ব্যবস্থা ব্যাহত হয়।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দক্ষিণ খেরসনের একটি খামারে গোলাবর্ষণে দুই কর্মচারী নিহত হন। একই অঞ্চলের প্রধান শহরে রাতভর হামলায় ৮১ বছর বয়সী এক নারী মারা গেছেন। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, পোলতাভা, সুমি ও চেরনিগিভ অঞ্চলে এক লাখেরও বেশি বাড়ি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।
এদিকে, ক্রেমলিন বুধবার জানায়, ইউরোপের কয়েকটি দেশের শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর পরিকল্পনার বিরোধিতা করছে রাশিয়া। পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে দ্রুত কোনো বৈঠকের সম্ভাবনাও নেই।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানে সম্ভাব্য ইউরোপীয় শান্তিরক্ষী বাহিনীর বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এএফপিকে বলেন, “আমরা এ ধরনের আলোচনাকে নেতিবাচকভাবে দেখি।”
তিনি আরও বলেন, ন্যাটো দেশগুলোর সামরিক উপস্থিতি ঠেকানোই ছিল রাশিয়ার অন্যতম লক্ষ্য। এই কারণেই ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযান শুরু করেছিল মস্কো।