সীমান্ত সুরক্ষায় ২০০ হেলিকপ্টার কেনার উদ্যোগ ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৬:২১ পিএম, ১০ আগস্ট ২০২৫

সীমান্ত নিরাপত্তা ও আকাশ প্রতিরক্ষায় শক্তি বাড়াতে বড় ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। পুরনো চেতক ও চিতা হেলিকপ্টারের জায়গায় নতুন করে প্রায় ২০০টি আধুনিক হালকা হেলিকপ্টার কেনার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এসব হেলিকপ্টার ‘রিকনাইস্যান্স অ্যান্ড সারভেইল্যান্স হেলিকপ্টার’ শ্রেণির হবে।
প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রাথমিক ধাপে সম্ভাব্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে প্রস্তাব চেয়ে নথি প্রকাশ করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। ইকোনোমিক টাইমস-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, হেলিকপ্টারগুলোর মধ্যে ১২০টি থাকবে সেনাবাহিনীর জন্য এবং ৮০টি বরাদ্দ হবে বিমানবাহিনীর ব্যবহারে।
নতুন এই হেলিকপ্টারগুলো রাতে এবং দিনে উভয় সময়েই অভিযান চালাতে পারবে। এদের ব্যবহারের ক্ষেত্র থাকবে নজরদারি, বিশেষ বাহিনীর অভিযান পরিচালনায় দ্রুত প্রতিক্রিয়া দল মোতায়েন, স্থল অভিযানে সহায়তা, আক্রমণ হেলিকপ্টারের সঙ্গে যৌথ স্কাউটিং, আহত উদ্ধার কার্যক্রম ও অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান। প্রয়োজনে বেসামরিক প্রশাসনকেও সহায়তা দিতে পারবে এই হেলিকপ্টারগুলো।
চলতি অর্থবছরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও বেশ কিছু সামরিক প্ল্যাটফর্ম সংগ্রহের পরিকল্পনা করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ইউটিলিটি হেলিকপ্টার, লো-লেভেল রাডার, লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফট, মাল্টিরোল হেলিকপ্টার এবং মাঝ-আকাশে জ্বালানি ভরার বিমান।
এর আগেই মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা কমিটি (সিসিএস) হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (এইচএএল) থেকে ৪৫ হাজার কোটি রুপির বেশি মূল্যে ১৫৬টি লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার কেনার অনুমোদন দেয়। এগুলোর একটি বড় অংশও চীন ও পাকিস্তান সীমান্তে সেনা ও বিমানবাহিনীর মধ্যে ভাগ করে মোতায়েন করা হবে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ‘আত্মনির্ভর ভারত’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশেই যুদ্ধবিমান, পরিবহন বিমান, হেলিকপ্টার, প্রশিক্ষণ বিমান, বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র, মানববিহীন আকাশযান ও রাডার তৈরির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এতে দেশে প্রযুক্তিগত সক্ষমতা যেমন বাড়বে, তেমনি তৈরি হবে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগও।