মালয়েশিয়ার উদ্যোগে থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সংলাপে রাজি
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৮:১৬ পিএম, ২৭ জুলাই ২০২৫

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চলমান সীমান্ত উত্তেজনার অবসানে কূটনৈতিক আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া। এই দুই দেশের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে রাজি হয়েছে মালয়েশিয়া, এমনটি জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী। খবর দিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়া নিজেকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে প্রস্তাব দেওয়ার পর তা গ্রহণ করেছে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া। তবে সীমান্তবর্তী বিরোধপূর্ণ এলাকায় নতুন করে গোলাবর্ষণের অভিযোগ একে অপরের বিরুদ্ধে তুলেছে উভয় দেশ।
মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা বারনামাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হাসান জানিয়েছেন, আগামী সোমবার সন্ধ্যায় কুয়ালালামপুরে পৌঁছাবেন কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত এবং থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই।
তিনি বলেন, “তারা মালয়েশিয়ার ওপর সম্পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করেছেন এবং আমাকে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালনের অনুরোধ করেছেন।” মোহাম্মদ হাসান আরও জানান, তিনি দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন এবং তারা মত দিয়েছেন যে, এই বিষয়ে অন্য কোনো দেশের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন নেই।
এর আগে শুক্রবার, আসিয়ান জোটের চেয়ারম্যান হিসেবে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম সংঘাত নিরসনে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেন।
এদিকে, এশিয়ার এই নতুন সংকট নিরসনে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার তিনি বলেন, “যুদ্ধবিরতি নিয়ে কাজ করতে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার নেতারা সম্মত হয়েছেন।”
গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে সহিংস এই সীমান্ত সংঘর্ষে চার দিনের মধ্যে প্রাণ হারিয়েছে ৩০ জনের বেশি। নিহতদের মধ্যে থাইল্যান্ডে ১৩ জন বেসামরিক এবং কম্বোডিয়ায় ৮ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া, পরিস্থিতি অবনতির কারণে দুই দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে প্রায় দুই লাখ মানুষকে।
সূত্র: রয়টার্স।