এক দশক পর মস্কো-পিয়ংইয়ংয়ে সরাসরি ফ্লাইট চালু
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৫:৩০ পিএম, ২৭ জুলাই ২০২৫

রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন পর ফের আকাশপথে যাত্রী পরিবহন শুরু হচ্ছে। এক দশকেরও বেশি সময় পর মস্কো থেকে পিয়ংইয়ংগামী প্রথম সরাসরি ফ্লাইট চালু করতে যাচ্ছে রাশিয়া—যা দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের আরেকটি বার্তা দিচ্ছে।
রুশ কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রোববার রাশিয়ার রাজধানী মস্কো থেকে উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের উদ্দেশ্যে প্রথম যাত্রীবাহী ফ্লাইট চালু হবে। এটি চলতি সময়ের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দুই মিত্র দেশের মধ্যে বর্ধিত সহযোগিতার প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
মস্কোর শেরেমেতিয়েভো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সূচি অনুযায়ী, ওই ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় যাত্রা শুরু করবে। এটি হবে মস্কো ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে এক দশকের বেশি সময় পর প্রথম নিয়মিত যাত্রীবাহী বিমান যোগাযোগ।
রুশ এভিয়েশন ব্লগগুলো বলছে, ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝির পর এই প্রথম নিয়মিত ফ্লাইট চালু হচ্ছে এই দুই দেশের মধ্যে। এর আগে গত জুন মাসে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে পুনরায় ট্রেন চলাচল শুরু হয়, যেখানে মস্কো থেকে পিয়ংইয়ং পৌঁছাতে সময় লাগে প্রায় ১০ দিন।
রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম আরআইএ জানিয়েছে, মস্কো-পিয়ংইয়ং রুটে প্রথম ফ্লাইটটি বোয়িং ৭৭৭-২০০ইআর মডেলের একটি বিমান ব্যবহার করে পরিচালিত হবে। এই উড়োজাহাজটি ৪৪০ যাত্রী পরিবহনে সক্ষম এবং ফ্লাইটটির সময়কাল প্রায় আট ঘণ্টা।
টিকিটের মূল্য শুরু হয়েছে ৪৪ হাজার ৭০০ রুবল, যা প্রায় ৫৬৩ মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ। প্রথম ফ্লাইটের সব টিকিট ইতোমধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে বলে জানানো হয়েছে। রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ‘রোসাভিয়াটসিয়া’ নর্ডউইন্ড এয়ারলাইন্সকে প্রতি সপ্তাহে দুইটি ফ্লাইট পরিচালনার অনুমোদন দিয়েছে।
তবে রাশিয়ার পরিবহন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যাত্রীদের আগ্রহ মূল্যায়নের জন্য প্রাথমিকভাবে মাসে একটি ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। এর আগে, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে একমাত্র নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করত উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় এয়ারলাইন ‘এয়ার কোরিও’, যা প্রতি সপ্তাহে তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা করে ভ্লাদিভস্তকে।
ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে পশ্চিমা বিশ্ব উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে রাশিয়াকে গোলাবারুদ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ এনেছে। তবে মস্কো ও পিয়ংইয়ং উভয়ই এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এছাড়া, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সহায়তা করতে উত্তর কোরিয়া ১০ হাজারের বেশি সেনা এবং প্রচুর অস্ত্র সরবরাহ করেছে বলে দাবি রয়েছে। চলতি জুলাই মাসেই উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন ঘোষণা দিয়েছেন,
“ইউক্রেন সংকট নিরসনে রাশিয়ার যেকোনো পদক্ষেপে উত্তর কোরিয়া শর্তহীন সমর্থন জানাতে প্রস্তুত।”
সূত্র: রয়টার্স