ইতালির ‘না’ ফিলিস্তিন স্বীকৃতিতে, ফ্রান্সের অবস্থানের বিপরীত সুর


ইতালির ‘না’ ফিলিস্তিন স্বীকৃতিতে, ফ্রান্সের অবস্থানের বিপরীত সুর

ইউরোপে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র স্বীকৃতি নিয়ে ভিন্নমত দিন দিন স্পষ্ট হয়ে উঠছে। সম্প্রতি ফ্রান্স যখন জাতিসংঘে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনার ঘোষণা দেয়, তখন এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে ইতালি।

ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি শুক্রবার স্থানীয় দৈনিক লা রিপাবলিকা-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে, তবে সেটি প্রতিষ্ঠার আগেই স্বীকৃতি দেওয়ার বিপক্ষে।” তার মতে, বাস্তবে অস্তিত্বহীন কোনো রাষ্ট্রকে আগেভাগে স্বীকৃতি দিলে তা নেতিবাচক ফল বয়ে আনতে পারে।

মেলোনি বলেন, “যদি এমন কিছু কাগজে-কলমে স্বীকৃতি দেওয়া হয় যা বাস্তবে এখনও নেই, তাহলে সমস্যাটি মিটে গেছে বলে ভুল বার্তা ছড়াতে পারে।”

এই বক্তব্য এসেছে এমন এক সময়ে, যখন ফ্রান্স ঘোষণা দিয়েছে যে তারা আগামী সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। প্যারিসের এমন ঘোষণায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র—বিশেষ করে গাজায় চলমান সংঘাতের প্রেক্ষাপটে।

ফ্রান্সের বিপরীতে স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছে ইতালিও। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী শুক্রবার বলেন, “ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি তখনই দেওয়া উচিত, যখন সেই রাষ্ট্র ইসরাইলকেও আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেবে।”

এদিকে জার্মান সরকারের একজন মুখপাত্র জানান, তারা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার কোনো তড়িঘড়ি পরিকল্পনা করছেন না। তার ভাষায়, “আমাদের এখনকার অগ্রাধিকার হলো বহু প্রতীক্ষিত দুই-রাষ্ট্র সমাধান এগিয়ে নেওয়া।”

এই বিবৃতিগুলো থেকে পরিষ্কার, ইউরোপের প্রভাবশালী দেশগুলোর মধ্যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র স্বীকৃতি ইস্যুতে ঐক্যমত্য এখনও অনুপস্থিত। বরং তারা বিষয়টিকে রাজনৈতিক বাস্তবতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপটে বিবেচনা করতে আগ্রহী।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×