ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার চিন্তায় রাশিয়া


ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার চিন্তায় রাশিয়া

ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করছে রাশিয়া। শুক্রবার এ তথ্য জানান ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। তার মতে, মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাত নিরসনের পথ হতে পারে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। বিষয়টি উঠে এসেছে রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির এক প্রতিবেদনে।

পেসকভ বলেন, “ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের মাধ্যমেই ইসরাইলের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্য সংকটের সমাধান সম্ভব।”

এদিকে, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এরই মধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন যে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের পরবর্তী অধিবেশনে, যা আগামী সেপ্টেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হবে, ফ্রান্স আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে।

দিমিত্রি পেসকভ আরও জানান, মস্কো সবসময়ই দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানকেই ইসরাইল-ফিলিস্তিন বিরোধের মূল ভিত্তি হিসেবে দেখে এসেছে। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে, রাশিয়া ১৯৮৮ সালেই ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ঘোষণাকে সমর্থন জানিয়ে স্বীকৃতি দিয়েছিল।

পেসকভের মতে, টেকসই শান্তি কেবলমাত্র জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনা অনুসরণের মাধ্যমেই অর্জন সম্ভব। এসব প্রস্তাবে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েলি দখল অবৈধ এবং গাজায় যুদ্ধবিরতি ও সেনা প্রত্যাহার জরুরি।

এদিকে, যুক্তরাজ্যেও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জোরালো হচ্ছে। দেশটির পার্লামেন্টের ২২০ জন এমপি, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই লেবার পার্টির সদস্য, প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারকে একটি যৌথ চিঠি দিয়েছেন। এতে তারা ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এই সংখ্যা ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি। তাদের মতে, এই স্বীকৃতি একটি ‘শক্তিশালী বার্তা’ হিসেবে কাজ করবে এবং দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে।

ফ্রান্সের সাম্প্রতিক প্রতিশ্রুতি এবং আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক তৎপরতার মধ্যেই এই চিঠি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ওপর চাপ বাড়িয়েছে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ এবং জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডরিখ ম্যার্ৎসের সঙ্গে ফোনালাপের পর স্টারমার মন্তব্য করেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে হলে তা ‘একটি বিস্তৃত পরিকল্পনার অংশ’ হওয়া উচিত, যা শেষ পর্যন্ত দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানে পৌঁছাবে।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×