ইরানে বিচার বিভাগের ভবনে গ্রেনেড হামলা, নিহত ৮

ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের সিস্তান-বালুচিস্তান প্রদেশে একটি বিচারবিভাগীয় ভবনে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে তিনজন হামলাকারীও রয়েছে। শুক্রবার সকালে প্রাদেশিক রাজধানী জাহেদানে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

দেশটির বিচার বিভাগ-সংশ্লিষ্ট বার্তা সংস্থা মিজান অনলাইন জানায়, জাহেদানের একটি বিচারবিভাগীয় ভবনে হঠাৎই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচজন ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান এবং আরও ১৩ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে।

রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, ঘটনার পরপরই নিরাপত্তা বাহিনী দ্রুত অভিযান চালায় এবং তাদের গুলিতে তিন হামলাকারী নিহত হয়। এই তথ্য নিশ্চিত করেছে ইরানের অভিজাত সামরিক বাহিনী ইসলামিক রেভোল্যুশনারী গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)।

সিস্তান-বালুচিস্তান পুলিশের ডেপুটি কমান্ডার আলিরেজা দালিরি ইরনা-কে বলেন, “হামলাকারীরা দর্শনার্থীর ছদ্মবেশে ভবনে প্রবেশ করে এবং পরে নিজেদের সঙ্গে থাকা গ্রেনেড ছুড়ে মারে। নিহতদের মধ্যে একটি এক বছরের শিশু ও তার মা রয়েছেন।”

ঘটনার দায় স্বীকার করেছে জইশ আল আদল নামের একটি জঙ্গিগোষ্ঠী। এর নামের অর্থ ‘ন্যায়বিচারের সেনাবাহিনী’। পাকিস্তানভিত্তিক হলেও গোষ্ঠীটির ইরানের অভ্যন্তরেও সক্রিয়তা রয়েছে।

সিস্তান-বালুচিস্তান প্রদেশ, যা রাজধানী তেহরান থেকে প্রায় ১,২০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত, ইরানের অন্যতম দরিদ্র অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। এক সময় এই অঞ্চল পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের অংশ ছিল। সীমান্তবর্তী এই অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরেই বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা চলছে। পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে সাত দশকের বেশি সময় ধরে স্বাধীনতা আন্দোলন চলমান, যার প্রভাব মাঝেমধ্যে ইরানেও এসে পড়ে। এর আগেও সিস্তান-বালুচিস্তান জেলায় পাকিস্তানভিত্তিক বিভিন্ন গোষ্ঠীর হামলার শিকার হয়েছে।

সূত্র: এএফপি