কম্বোডিয়ায় থাইল্যান্ডের বোমা হামলা


কম্বোডিয়ায় থাইল্যান্ডের বোমা হামলা

বিরোধপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় গোলাগুলির জেরে কম্বোডিয়ায় যুদ্ধবিমান দিয়ে হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। দেশটির সেনাবাহিনী এক্স-এ জানায়, কম্বোডিয়ার একটি সামরিক ব্যাটালিয়নের ওপর বোমা বর্ষণের পর থাইল্যান্ডের সব এফ-১৬ যুদ্ধবিমান নিরাপদে দেশে ফিরে এসেছে।

বৃহস্পতিবার ভোরে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে তীব্র গোলাগুলির পর এই হামলা চালানো হয় বলে বিবিসির লাইভ আপডেটে জানানো হয়েছে। আল জাজিরা জানিয়েছে, কম্বোডিয়ার সেনাবাহিনীর রকেট হামলায় দুই থাই বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার পরপরই থাই বাহিনী ফাইটার জেট মোতায়েন করে পাল্টা হামলায় অংশ নেয়।

থাই সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে জানানো হয়, তাদের একটি যুদ্ধবিমান কম্বোডিয়ার অভ্যন্তরে সামরিক স্থাপনায় গুলি চালিয়ে লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করেছে। দাবি করা হয়, কম্বোডিয়ার বিশেষ সামরিক অঞ্চল ‘রিজিয়ন কমান্ডস ৮ ও ৯’ পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে কম্বোডিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় অভিযোগ করেছে, থাইল্যান্ড অতিরিক্ত সেনা ও ভারী অস্ত্র মোতায়েন করে সীমান্ত অতিক্রম করেছে এবং বিমান হামলার মাধ্যমে আগ্রাসন চালিয়েছে। এ ঘটনাকে ‘নৃশংস ও বেআইনি’ উল্লেখ করে মন্ত্রণালয় বলেছে, এটি জাতিসংঘ সনদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

কম্বোডিয়ার অভিযোগ, থাই যুদ্ধবিমান তাদের ভূখণ্ডে দুইবার বোমা হামলা চালিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত এ হামলাকে ‘সশস্ত্র আগ্রাসন’ বলে আখ্যা দিয়ে জানিয়েছেন, শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষ নিলেও প্রতিরক্ষার জন্য শক্তি প্রয়োগ করতে তারা বাধ্য হচ্ছেন।

উত্তপ্ত পরিস্থিতির কারণে থাইল্যান্ডের সুরিন প্রদেশের সীমান্তবর্তী ৮৬টি গ্রাম থেকে অন্তত ৪০ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

উভয় দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ায় সীমান্ত অঞ্চলে যুদ্ধ পরিস্থিতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

 

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×