গাজায় ইসরায়েলের ৯০ হামলা, যুদ্ধবিরতি নাকচ
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৬:৪৪ পিএম, ১৯ জুলাই ২০২৫

ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকায় একদিনে ৯০টি বিমান হামলা চালিয়েছে—যা ওই ছোট ভূখণ্ডের তুলনায় নজিরবিহীন মাত্রার। শনিবার, ১৯ জুলাই, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এই খবর নিশ্চিত করেছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বক্তব্য অনুযায়ী, তাদের বিমানবাহিনী অবরুদ্ধ গাজার বিভিন্ন স্থানে এসব হামলা চালিয়েছে। মাত্র ৩৬৫ বর্গকিলোমিটারের (প্রায় ১৪০ বর্গমাইল) একটি ভূখণ্ডে এত সংখ্যক আক্রমণ যে কোনো যুদ্ধক্ষেত্রের তুলনায় বহুগুণ বেশি ধ্বংসাত্মক হিসেবে বিবেচিত। সেনাবাহিনী দাবি করেছে, গাজার ভিতরে থাকা যোদ্ধাদের সামরিক ঘাঁটি এবং ভূগর্ভস্থ কাঠামোগুলো ছিল এই হামলার লক্ষ্যবস্তু। তবে তারা হামলার সুনির্দিষ্ট স্থানের কোনো দৃশ্যমান প্রমাণ বা বর্ণনা প্রকাশ করেনি।
সম্প্রতি, গাজার আল-মাওয়াসি এলাকায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের অস্থায়ী আশ্রয় হিসেবে ব্যবহৃত তাঁবুগুলোতেও হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। একইসঙ্গে, গাজা শহরের একমাত্র ক্যাথলিক গির্জাও হামলার শিকার হয়েছে। এসবের পাশাপাশি, ত্রাণের আশায় জড়ো হওয়া সাধারণ মানুষও ইসরায়েলি আগ্রাসনের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছেন বলে জানাচ্ছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা।
অন্যদিকে, ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাস জানিয়েছে, তারা যেসব শর্তে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিল, সেগুলো ইসরায়েল প্রত্যাখ্যান করেছে। হামাসের সামরিক শাখা ‘আল-কাসাম ব্রিগেড’-এর মুখপাত্র আবু উবাইদা এক ভিডিও বার্তায় বলেন, "যদি কোনো সমঝোতা না হয়, তাহলে এই যুদ্ধ দীর্ঘমেয়াদি হতে বাধ্য।"
প্রকাশিত ২০ মিনিটের ওই ভিডিও বার্তায় উবাইদা অভিযোগ করেন, ইসরায়েলি সরকার তাদের হাতে বন্দি সেনাসদস্যদের মুক্তির বিষয়ে আন্তরিক নয়। তিনি আরও বলেন, হামাস একটি পূর্ণাঙ্গ চুক্তি চায়, যেখানে যুদ্ধ অবসান, গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর প্রত্যাহার এবং মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করার বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
গাজায় চলমান এই উত্তেজনা আন্তর্জাতিক মহলেও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে, তবে তা সত্ত্বেও স্থায়ী শান্তির সম্ভাবনা এখনো অধরা।